চামড়ার কারখানার বিষাক্ত পানি ছাড়ছে পাকিস্তান, উদ্বেগ ভারতের

চামড়ার কারখানার বিষাক্ত পানি ছাড়ছে পাকিস্তান, উদ্বেগ ভারতের

পাকিস্তানের ছাড়া জলে ভারতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। টানা বৃষ্টি চলছে পাঞ্জাব বরাবর ভারত পাকিস্তান সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে। তারওপর পানি ছাড়ছে পাকিস্তান। শুধু তাই নয়, সেই পানি মিশছে চামড়ার কারখানার দূষণ। ফলে পাঞ্জাবের গ্রামগুলোতে পানিবাহিত রোগের প্রকোপ বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে নয়াদিল্লি।

পাঞ্জাব সীমান্ত বরাবর পাকিস্তানের দিকে রয়েছে বেশ কয়েকটি চামড়ার কারখানা। বন্যার ফলে সেখানকার দূষিত পানি মিশে যাচ্ছে বৃষ্টির পানিতে। দূষণ ছড়াচ্ছে। এমনই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে টাইমস অফ ইন্ডিয়া।

জানা গেছে, বন্যার পানির তোড়ে ভেসে গেছে ফিরোজপুরের তেণ্ডিওয়ালা গ্রামের বাঁধের একাংশ। ভাঙন আরো বাড়ছে। পরিস্থিতি ক্রমশই খারাপ হচ্ছে। তড়ঘড়ি এই ইস্যুতে আপদকালীন বৈঠক ডেকেছেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং। ইতিমধ্যেই হরিয়ানায় ৬৩ মিমি বৃষ্টি হয়েছে। পঞ্চকুল্লা ও অম্বালাতেও টানা বৃষ্টি চলছে। বিপদসীমা ছাড়িয়ে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি করেছে সুতলেজ নদী।

একই পরিস্থিতি রাজস্থানেও। গত ২৪ ঘণ্টায় ২ থেকে ৭ সে.মি. বৃষ্টি হয়েছে। শনিবার থেকে লাগাতার বৃষ্টি চলছে অসনাওয়ার, অত্রু, সাঙ্গদ, বারান, অসপুরে।

রবিবার স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, পাকিস্তান পানি ছাড়া বন্ধ না করলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। ইতিমধ্যেই জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরকে নামানো হয়েছে দুর্গতদের উদ্ধারে। নেমেছে সেনাও। পাঞ্জাব সীমানায় অবস্থিত তেণ্ডিওয়ালা গ্রামে ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। ভেঙে গেছে বাঁধের একাংশ। ফলে পানি ঢুকছে সমানে। পাঞ্জাব প্রশাসনের দাবি পাকিস্তান অধিক মাত্রায় পানি ছাড়ার ফলেই এই অবস্থা।

সুতলেজ নদী তীরবর্তী বাসিন্দাদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ত্রাণের ব্যবস্থা করেছে স্থানীয় প্রশাসন। তৈরি রয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। দ্রুত গতিতে শুরু হয়েছে ত্রাণ বিলি বলে খবর। ভেঙে পড়ার বাঁধের একাংশ বালির বস্তা দিয়ে মেরামতি শুরু করা হলেও, পানির তোড়ে তা ভেসে যাচ্ছে। তবে চেষ্টা চালাচ্ছে প্রশাসন।

এমআই