কাশ্মীরে এখন আপেল মানেই আতঙ্ক

কাশ্মীরে এখন আপেল মানেই আতঙ্ক

৫ আগস্ট কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে মোদি সরকার। সরকারের এমন সিদ্ধান্তে ফুঁসে উঠেছেন বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। কাশ্মীরের অর্থনীতির প্রধান চাকা আপেল ব্যবসাকেই নিশানা করেছে তারা।

১২ সেপ্টেম্বর শোপিয়ানের এক আপেল বাগানে বেশকিছু কাশ্মীরের বিখ্যাত গোল্ডেন আপেল গাছ পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এতে অন্তত চার লাখ রুপির ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই বাগানের মালিক।

বিস্তৃত আপেল বাগানের জন্য সোপোরিকে ‘লিটল লন্ডন’ বলা হয়। ৬ সেপ্টেম্বর দুই বন্দুকধারী বিশিষ্ট আপেল ব্যবসায়ী আবদুল হামিদ রাথেরের (৭০) পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলা করে। এতে তার ৩২ বছরের ছেলে এরশাদ আহমেদ এবং পাঁচ বছরের নাতনি আসিমা জান গুলিবিদ্ধ হয়। ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ওয়াশিংটন পোস্ট জানায়, এদিন সন্ধ্যায় গাড়িতে করে সোপোরি শহরের দাঙ্গারপোরায় বাড়িতে ফিরছিলেন মোহাম্মাদ আশরাফ দার, মোহাম্মদ রমজান দার ও তার স্ত্রী হাজরা।

সেলো-দাঙ্গারপোরা সংযোগ সড়কে তাদের গাড়ি আটকায় দুই বন্দুকধারী। গাড়িতে উঠে মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে দাঙ্গারপোরায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে। কিছুক্ষণ পর হামিদ রাথেরকে তারা চেনে কি না জানতে চায় বন্দুকধারীরা।

তাদেরকে হামিদের বাড়িতে নিয়ে যেতে বাধ্য হন আশরাফ ও রমজান। হামিদের ছেলে এরশাদ বলেন, আমাদের ঘরের দরজায় জোরে জোরে শব্দ করছিল তারা। আমি দুই বন্দুকধারীর পাশে আশরাফ ও রমজানকে দেখলাম।

তাদেরকে খুবই ভীতু দেখাচ্ছিল। এরশাদ উপরের ঘরে নামাজরত বাবাকে খবর দিতে চলে যান। এ সময় বন্দুকধারীরা আশরাফ ও রমজানের পায়ে গুলি করে।

গুলির শব্দ শুনে বাবাকে গোপন দরজা দিয়ে বাইরে পাঠিয়ে সেখানে ফিরে আসেন এরশাদ। পরে তার ও তার মেয়ের পায়েও গুলি করা হয়।

এক ব্যবসায়ী রয়টার্সকে বলেন, ‘সবাই ভীত। কেউই বাজারে আসছে না।’ কাশ্মীরের অর্থনীতি আপেল হচ্ছে প্রাণ সঞ্চারিণী। রাজ্যের ৩৫ লাখ মানুষ অর্থাৎ মোট জনগোষ্ঠীর প্রায় অর্ধেকই আপেল উৎপাদন ও বিপণননের সঙ্গে জড়িত। ফল ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গ্রুপগুলোও তাদেরকে ফল সংগ্রহ ও বিপণন বন্ধ রাখতে হুমকি দিচ্ছে।

এমজে/