যে কোনো সময় নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে ভারতে ঢুকবে হাজারো পাকিস্তানি

যে কোনো সময় নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে ভারতে ঢুকবে হাজারো পাকিস্তানি

ভারত অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরিদের প্রতি সংহতি জানানোর উদ্দেশে সীমান্তের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বিক্ষোভকারীরা।

শুক্রবার থেকে জম্মু-কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্টের আহ্বানে মার্চে অংশগ্রহণকারীরা রোববার সীমান্ত রেখার কাছাকাছি জিসকুল এলাকায় পৌঁছেছেন।

ডন ও এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের খবরে বলা হয়, শুক্রবার আজাদ কাশ্মীর থেকে মুজাফফরবাদের উদ্দেশে হাজার মোটরসাইকেল নিয়ে কাশ্মীরিরা মিছিল বের করে। শনিবার সীমান্ত রেখার দিকে পদযাত্রা শুরু করেন তারা।

পদযাত্রার তৃতীয় দিন রোববার চকোঠির কাছাকাছি জিসকুল এলাকায় অবস্থান নিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। আজাদী মার্চে তরুণদের পাশাপাশি কয়েক হাজার যুবক, বৃদ্ধ ও নারীরাও অংশ নিয়েছেন।

এদিকে পাকিস্তানের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মার্চে অংশগ্রহণকারীদের বাধা দিতে চকোঠির রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে।

শনিবার থেকে সীমান্তে সৈন্য বাড়ানো হয়েছে। যে কোনো ধরণের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে সবধরণের প্রস্তুতি নিয়েছে তারা।

ভারতীয় নির্যাতনের ব্যাপারে বিশ্ব সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করতেই এমন প্রতিবাদের আয়োজন করা হয়েছে বলে জম্মু-কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্টের নেতারা জানিয়েছেন।

শনিবার জম্মু-কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্টের মুখপাত্র ডনকে বলেন, চকোঠি থেকে আমরা যুদ্ধবিরতি সীমান্ত রেখা পেরিয়ে শ্রীনগর যাব।

মুজাফফারাবাদের কমিশনার বলেছেন, বেসামরিক নাগরিকদের দিকে ভারত সেনাবাহিনীর গুলিবর্ষণ ও গোলাবর্ষণ করার আশঙ্কা রয়েছে, এতে নাগরিকদের মারাত্মক হতাহতের ঘটনা ঘটতে পারে।

এদিকে আজাদ কাশ্মীর থেকে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারত অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরে প্রবেশ করে তাদের সমর্থন বা সহযোগিতা না করতে পরামর্শ দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।

শনিবার এক টুইট বার্তায় ইমরান খান বলেন, আমি দুই মাস ধরে অমানিবকভাবে অবরুদ্ধ ভারত অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরিদের দেখে তাদের সমকক্ষসঙ্গী আজাদ কাশ্মীদের যন্ত্রণা বুঝতে পারছি।

কিন্তু কেউ যদি আজাদ কাশ্মীরের সীমান্ত অতিক্রম করে দুদর্শাগ্রস্থ ভারত অধিকৃত কাশ্মীরে মানবিক সহযোগিতা বা সমর্থন দিতে যান, তাহলে ভারত তাকে নিয়ে খেলবে।

এর ব্যাখ্যা দিয়ে ইমরান খান বলেন, ভারত দৃষ্টিভঙ্গি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য তাদেরকে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত ইসলামিক জঙ্গি তকমা লাগিয়ে দেয়ার চেষ্টা করবে।

এমজে/