বিশ্বে ৩ কোটি মানুষের মৃত্যু আসন্ন, আশঙ্কা প্রকাশ করলেন বিল গেটস

বিশ্বে ৩ কোটি মানুষের মৃত্যু আসন্ন, আশঙ্কা প্রকাশ করলেন বিল গেটস

ঢাকা, ৬ ফেব্রুয়ারি : অপেক্ষা আর এক বছরের! শ্বাসকষ্টজনিত রোগে বিশ্বের ৩০ মিলিয়ন বা ৩ কোটি মানুষ প্রাণ হারাবেন। এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করলেন বিল গেটস। মার্কিন সংবাদ মাধ্যম বিজনেস ইনসাইডারকে তিনি জানান, মহামারি তত্ত্ববিদরা এই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

এয়ারবর্ন বা বাতাসে জন্ম নেওয়া প্যাথোজেনের কারণে এই গণমৃত্যুর ঘটনা ঘটবে বলে জানিয়েছেন তারা।

তিনি বলেন, অনেকে হয়তো এই কথা শুনে বিস্মিত হতে পারেন। এমন মহামারি অতীতেও দেখা গেছে। ১৯১৮ সালের স্প্যানিশ ফ্লু মহামারিতে মৃত্যু হয়েছিল ১০ কোটি মানুষের।

তিনি জানিয়েছেন, আগামী ১০ থেকে ১৫ বছরের মধ্যেই এই বিপুল পরিমাণে মানুষ প্রাণ হারাবেন। যার জেরে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হতে চলেছে পাকিস্তান। পাকিস্তানেই মারা যাবে সবচেয়ে বেশি মানুষ। ইউএস সেন্টারস ফর ডিজিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের সমীক্ষায়ও এমনই তথ্য উঠে এসেছে। তারা বলছে পাকিস্তানেই সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা যাবে।

এই সংস্থাটি ৪৯টি দেশের উপরে গ্লোবাল হেলথ সিকিউরিটি অ্যাজেন্ডার উপরে কাজ করছে। কিন্তু অর্থের অভাবে ২০১৯ সালের মধ্যেই সংস্থাটি তাদের কার্যক্রম ৩৯ দেশে নামিয়ে আনবে। চীন, হাইতি, রুয়ান্ডা, ইন্দোনেশিয়া এবং ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অফ কঙ্গোর মতো ১০টি দেশে কার্যক্রম বন্ধ করে দিবে তারা।

অথচ এই সকল দেশেই এয়ারবর্ন প্যাথোজেন মহামারীর আকার নিতে পারে। তা হতে পারে কোনো প্রাকৃতিক কারণে বা কোনো সন্ত্রাসী সংগঠনের জৈব রাসায়নিক হামলার কারণে।

২০১৪ থেকে ২০১৬ সালে পশ্চিম আফ্রিকাতে জাল বিস্তার করেছিল ইবোলা ভাইরাস। এই ভাইরাস প্রায় ১১ হাজার সাধারণ মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছিল। এরপরই ইবোলা ভাইরাসের মত রোগ যাতে মহামারি আকার না নেয়, সেই কারণে উদ্যোগী হয়েছিল ইউএস সেন্টারস ফর ডিজিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন।

(জাস্ট নিউজ/একে/১৯৫০ঘ.)