যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে গাজায় ইসরাইলের বোমা হামলা

যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে গাজায় ইসরাইলের বোমা হামলা

যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় বিমান হামলা চালিয়েছে ইহুদিবাদী ইসরাইল। গাজা থেকে রকেট হামলা চালু রয়েছে দাবি করে ফিলিস্তিনে হামলা চালায় অবৈধ রাষ্ট্রটির সেনারা।

গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলে বেইত লাহিয়া এলাকায় ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের একটি অবস্থানে হামলা চালায় ইসরাইলের যুদ্ধবিমান। এছাড়া, গাজার নৌ পুলিশের কম্পাউন্ডের ওপরও ইসরাইলি বিমান হামলা চালিয়েছে। তবে, এসব হামলায় কেউ হতাহত হয়নি।

মিসরের মধ্যস্থতায় বৃহস্পতিবার ফিলিস্তিনের ইসলামি জিহাদ আন্দোলন ও ইসরাইলের মধ্যে ওই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছিল।

শুক্রবার উত্তর ইসরাইলে হামলা চালাতে তিনশ কিলোগ্রাম বিস্ফোরক ধারন করতে সক্ষম এমন রকেট ব্যবহার করা হয়েছে বলে টাইমস অব ইসরাইলের খবরে দাবি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার ভোরে শুরু হওয়া সংঘাতে ইসরাইলি বিমান হামলায় ৩৪ নিরপরাধ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একই পরিবারের নারী-শিশুসহ আট সদস্য রয়েছে। যখন তাদের ওপর বোমা হামলা চালানো হয়, তখন সবাই ঘুমিয়ে ছিলেন।

এছাড়া অবৈধ ইহুদি দেশটিতে সাড়ে চারশ বেশি রকেট ছুড়েছে ইসলামিক জিহাদ।

এদিকে দখলদার ইসরাইলে নতুন ধরনের রকেট নিক্ষেপ করেছে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন ইসলামিক জিহাদ। যা হানাদার বাহিনীকে অবাক করে দিয়েছে।

এসব ক্ষেপণাস্ত্রের মুখে তিনশ কিলোগ্রাম বিস্ফোরক ধারন করতে সক্ষম, যাতে হামলার স্থলে বড় ধরনের ধ্বংসযজ্ঞ সৃষ্টি করতে পারে বলে জানা গেছে।

চ্যানেল টুয়েলভ বলছে, রকেটের এই আকার দেখে ইসরাইল বিস্মীত হয়েছে। ইরানি প্রকৌশলীদের সহায়তায় স্থানীয়ভাবে এসব রকেট তৈরি করা হয়েছে।

প্রযুক্তির কোনো কোনো দিক থেকে প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসকেও ছাড়িয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে ইসলামিক জিহাদ।

লেবাননের হিজবুল্লাহরও একই ধরনের রকেট রয়েছে। যা ইসরাইলের সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে হামলায় সক্ষম বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

এমআই