কাশ্মীরে বাইরের কোম্পানি বসাতে জমি খুঁজছে ভারত

কাশ্মীরে বাইরের কোম্পানি বসাতে জমি খুঁজছে ভারত

জম্মু-কাশ্মীরে ভারতের হিন্দুপ্রধান অন্য রাজ্যের কোম্পানিগুলোকে জমি বরাদ্দ দেয়া হবে। সেই লক্ষ্যে ইতিমধ্যে চিহ্নিত করার কাজ শুরু করেছে নরেন্দ্র মোদির সরকার। এখন পর্যন্ত প্রায় ১৭ হাজার বিঘা জমি চিহ্নিত করা হয়েছে।

এর মধ্যে ১০ হাজার বিঘা জম্মুর কাঠুয়া ও সাম্বা জেলায়। বাকি ৭ হাজার বিঘা কাশ্মীরের গান্ডারবল, কুপওয়ারা ও অন্যান্য জেলায়। সরকারের এক সিনিয়র কর্মকর্তা এসব তথ্য জানিয়েছেন।

এদিকে বিশেষ মর্যাদা ও স্বায়ত্তশাসন বাতিলের পর থেকে বন্দি উপত্যকার রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা। কোনো বিচার ছাড়াই গত চার মাস ধরে জেলে আটকে রাখা হয়েছে রাজনীতিক, ব্যবসায়ী ও সুশীল সমাজের প্রায় পাঁচ হাজার ব্যক্তিকে।

বছরের পর বছর ভারতপন্থী রাজনীতি করার কারণে তারা একদিকে নিজ জনগণের কাছে বিশ্বাসঘাতক তকমা জুটেছে, অন্যদিকে মোদি সরকারের চোখে হয়েছেন ‘ভারতের শত্রু’। দ্য ওয়্যার, বিবিসি।

ভারতীয় সংবিধান থেকে বিশেষ মর্যাদা সম্পর্কিত ৩৭০ ধারা বাতিলের অনেক আগে থেকেই কাশ্মীরে বিনিয়োগের প্রস্তুতি নিচ্ছে বাইরের অন্যান্য রাজ্যের বহু কোম্পানি। ৫ আগস্টের পর থেকে বিনিয়োগ প্রস্তাব নিয়ে একপ্রকার লাইন ধরেছে কোম্পানিগুলো।

কেন্দ্রীয় সরকারের বরাত দিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জম্মু ও কাশ্মীরের বিনিয়োগ করার ইচ্ছে প্রকাশ করেছে ৪৪ কোম্পানি। এর মধ্যে ৩৩টি কোম্পানির প্রস্তাব গ্রহণ করেছে সরকার।

এর মধ্যে রয়েছে ডালমিয়া সিমেন্ট, শ্রী সিমেন্ট, জ্যাকশন গ্রুপ, রিলায়েন্স গ্রুপ, আদানি গ্রুপ, সিভিকে গ্রুপ, পেপারবোট ডিজাইন স্টুডিওস প্রাইভেট লিমিটেডসহ বিভিন্ন কোম্পানি। বিনিয়োগের প্রস্তাব এসেছে তথ্য প্রযুক্তি, পরিকাঠামো, বিদ্যুৎ, উৎপাদন, হোটেল, প্রতিরক্ষা, পর্যটন ও শিক্ষাক্ষেত্রে। সবমিলিয়ে বিনিয়োগের পরিমাণ ১৫,০০০ কোটি টাকা। বিনিয়োগের পরিমাণ ১ লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

এসব কোম্পানির পাহাড়সম বিনিয়োগের জায়গা করে দিতে হাজার হাজার একর জমির দরকার। স্টেট ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের (এসআইডিসিও) ব্যবস্থাপনা পরিচালক রবিন্দর কুমার বুধবার জানান, জম্মু ও কাশ্মীর মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ১৭ হাজার বিঘা জমি চিহ্নিত করা হয়েছে।

জমি খোঁজা ও চিহ্নিত করার এই প্রক্রিয়া আরও কিছুদিন চলবে বলেও জানান তিনি। কুমার বলেন, উপত্যকার সব ডিস্ট্রিক্ট কমিশনারদের তাদের অধীনে যেসব জমি আছে তার বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশনা জারি করেছে সরকার। তিনি বলেন, ‘উভয় অঞ্চলে প্রচুর জমি রয়েছে।’