ইউক্রেনের বিমান বিধ্বস্তের ঘটনা অমাজর্নীয় ভুল: রুহানি

ইউক্রেনের বিমান বিধ্বস্তের ঘটনা অমাজর্নীয় ভুল: রুহানি

ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ইউক্রেনের যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনাকে ‘অমার্জনীয় ভুল’ বলে উল্লেখ করেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ জারিফও এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেন।

শনিবার ইরানের সামরিক বাহিনী ভুল করে আঘাত হানার কথা স্বীকার করার পর তাঁরা এ মন্তব্য করেন।

বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে জানানো হয়, প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেন, ইউক্রেনের উড়োজাহাজটিকে আঘাত করার ঘটনা ‘মর্মান্তিক ও অর্মাজনীয় ভুল’। পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ এক টুইটে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনাটিকে ‘কষ্টের দিন’ উল্লেখ করে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের হঠকারিতায় সৃষ্ট সংকটের সময়ে মানুষের ভুল দুর্যোগের দিকে ঠেলে নিয়েছে। আমাদের জনগণ, নিহত ব্যক্তিদের স্বজন ও ক্ষতিগ্রস্ত অন্যান্য জাতির প্রতি আমরা গভীর দুঃখ ও সমবেদনা প্রকাশ করছি।’

সকালে এক বিবৃতিতে ইরানি সামরিক বাহিনী জানায়, উড়োজাহাজটিতে ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাত লাগার বিষয়টি ইচ্ছাকৃত ছিল না। এটা ছিল ভুল। এ ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বিবৃতিটি প্রকাশ করা হয়।

উড়োজাহাজে কানাডার ৫৭ জন যাত্রী ছিল। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ইরাকে অবস্থিত দুটি মার্কিন ঘাঁটিতে ইরান ২২টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে উড়োজাহাজটি যাত্রী নিয়ে তেহরানের বিমানবন্দর ছেড়ে যাচ্ছিল।

উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হওয়া নিয়ে গত বৃহস্পতিবার কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেছিলেন, তিনি বিভিন্ন সূত্রে গোয়েন্দা তথ্য পেয়েছেন যে, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে। তবে তা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নাও হতে পারে। একই মন্তব্য করেছিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। ইরান তখন এ ধরনের হামলার কথা অস্বীকার করে।

যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল, ইউক্রেনের উড়োজাহাজটিকে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিমান মনে করে ইরান ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে থাকতে পারে। ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রতিশোধ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র হামলা চালাতে পারে আশঙ্কায় প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল ইরান।