চুক্তি স্বাক্ষর করে বাণিজ্য যুদ্ধ শিথিল যুক্তরাষ্ট্র-চীনের

চুক্তি স্বাক্ষর করে বাণিজ্য যুদ্ধ শিথিল যুক্তরাষ্ট্র-চীনের

বাণিজ্যযুদ্ধের অবসানে অবশেষে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে বিশ্বের দুই পরাশক্তি চীন ও যুক্তরাষ্ট্র।

বুধবার ওয়াশিংটনে দুই দেশের মধ্যে এ চুক্তি স্বাক্ষর হয়। একে বলা হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র-চীন প্রথম ধাপের বাণিজ্য চুক্তি। চুক্তি স্বাক্ষরের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিষয়টিকে মার্কিন অর্থনীতির জন্য ‘রূপান্তরকারী’ হিসেবে উল্লেখ করেন। অন্যদিকে চীন এ চুক্তিকে উভয় দেশের জন্য ‘উইন-উইন’ বলে অভিহিত করেছে। দুই দেশের প্রত্যাশা চুক্তিটি তাদের মধ্যে সম্পর্কের উন্নতি ঘটাতে সহায়তা করবে।

চুক্তির আওতায় মার্কিন পণ্যসামগ্রী আমদানির পরিমাণ বাড়াবে চীন। এরই মধ্যে আগামী দুই বছরে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাড়তি ২শ’ বিলিয়ন ডলারের পণ্য ও সেবা কেনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বেইজিং। এর বিপরীতে চীনের ওপর আরোপিত কিছু শুল্ক স্থগিত রাখবে ওয়াশিংটন। এই চুক্তির মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যকার অর্থনৈতিক সম্পর্ক কিছুটা স্বাভাবিক হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ইউএস চেম্বার অব কমার্সের চীন সেন্টারের সভাপতি জেরেমি ওয়াটারম্যান বলেছেন, সামনে আরো অনেক কাজ পড়ে আছে। সারকথা হলো, তাদের আজকের দিনটি উপভোগ করা উচিত তবে দ্বিতীয় পর্যায়ে টেবিলে ফিরে আসতে খুব বেশি সময় নেয়া হবে না।

উল্লেখ্য, চীনের সঙ্গে বিপুল বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনতে ২০১৮ সাল থেকে দেশটির রফতানি পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক বসায় যুক্তরাষ্ট্র। এর পাল্টা জবাব হিসেবে মার্কিন পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক বসায় চীনও। তবে দু’পক্ষের কূটনৈতিক পর্যায়ে বৈঠক ও সংলাপে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি ঘটে।

ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রথম পর্যায়ের হলেও এই চুক্তির আওতায় দু’পক্ষই কৃষিপণ্য, জ্বালানি, শিল্পপণ্যসহ বিপুল পরিমাণ পণ্য ক্রয়ে সম্মত হয়েছে। প্রযুক্তি স্থানান্তর, মেধাস্বত্ব, কৃষি, আর্থিক সেবা, মুদ্রা, আন্তর্জাতিক মুদ্রা বিনিময়সহ অনেক বিষয় থাকছে এ চুক্তিতে।

এর আগে, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের শুরুর দিকে দুই দেশের মধ্যে প্রথম ধাপের বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরে সম্মত হয় যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। ওই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ইতোপূর্বে চীনকে আরও স্বচ্ছ, সময়োপযোগী ও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির ওপর ভিত্তি করে তার জিএম ফসল আমদানির আবেদন প্রক্রিয়া পরিবর্তনের আহ্বান জানানো হয়েছিল। মূলত এরপরই নতুন করে মার্কিন দুই জিএম শস্য আমদানির সুযোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বেইজিং। সূত্র : বিবিসি।

এমজে/