নয়াদিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে আবারো গুলি

নয়াদিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে আবারো গুলি

ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে আবারও গুলি চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। রবিবার দিবাগত রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ নম্বর গেটের সামনে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাতে অজ্ঞাত পরিচয় দুই ব্যক্তি স্কুটি চড়ে এসে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ নম্বর গেটে গুলি চালায়। তাদের একজনের গায়ে লাল জ্যাকেট ছিল। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হননি বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এর আগে গত ৩০ জানুয়ারি জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনবিরোধী (সিএএ) প্রতিবাদ মিছিল লক্ষ্য করে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। এ দিন মহাত্মা গান্ধীর ৭২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে রাজঘাটের দিকে যাচ্ছিলেন। তখন মিছিল লক্ষ্য করে গুলি করেন এক যুবক।

ভারতীয় টেলিভিশন এনডিটিভি ও কলকাতার দৈনিক আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়, বৃহস্পতিবার শিক্ষার্থীরা যখন রাজঘাটের উদ্দেশে মিছিল নিয়ে অগ্রসর হচ্ছিলেন তখন অনেক পুলিশের চোখের সামনেই ‘ইয়ে লো আজাদি’ (এই নে তোর স্বাধীনতা) বলে মিছিল লক্ষ্য করে গুলি চালান এক অস্ত্রধারী। গুলি লেগে এক শিক্ষার্থী আহত হন।

গত ১১ ডিসেম্বর ভারতের সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় নাগরিকত্ব আইন পাসের প্রতিবাদে টানা বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে নয়াদিল্লি। ১৫ ডিসেম্বর দিল্লির জুলেইনা ও মথুরা রোডে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পুলিশের বক্তব্য, চারটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। এই বিক্ষোভের কয়েক ঘণ্টা পর জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়ার দুই শিক্ষার্থী আজাজ আহমদ (২০) এবং মোহাম্মদ শোয়েবকে (২৩) সফদরজং হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

আহতরা অভিযোগ করেন, পুলিশের গুলিতে আহত হয়েছেন তারা। এমনকি তাদের অভিযোগ নথিভুক্ত করা হয়েছে হাসপাতালের মেডিকো-লিগাল কেস রিপোর্টেও।
তবে দিল্লি পুলিশ ওই সময় গুলি চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করে।

দিল্লি পুলিশের ডিসিপি (দক্ষিণ) চিন্ময় বিশ্বাস বলেন, হলি ফ্যামিলি হাসপাতালের এমএলসি প্রতিবেদনে বন্দুকের গুলিতে জখমের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। আহতদের বক্তব্যের ভিত্তিতে এটি লেখা হয়েছিল। কিন্তু আমরা কোনো শিক্ষার্থীর ওপর গুলি চালাইনি। কোনো ধাতু বা প্লাস্টিকের মতো কোনো কিছু দ্বারা তারা আহত হয়েছেন।