ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ

ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ

আদ্দিস আবাবা, ১৬ ফেব্রুয়ারি (জাস্ট নিউজ) : ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী ও দেশটির ক্ষমতাসীন জোটের চেয়ারম্যান হিসেবে পদত্যাগ করেছেন হাইলেমারিয়াম ডেসালেন। দেশের রাজনৈতিক সংকট ও অস্থিরতার মধ্যে এই ঘোষণা দেন তিনি।

বৃস্পতিবার টেলিভিশনে প্রচারিত এক ভাষণে হাইলেমারিয়াম বলেন, চলমান অস্থিরতা ও রাজনৈতিক সংকটের কারণে প্রাণহাণী ও অনেকে বাস্তুচ্যুত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। আমার দৃষ্টিতে দেশে স্থায়ী শান্তি ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে যে সংস্কারের প্রয়োজন তার জন্য আমার পদত্যাগ আবশ্যক। এ খবর দিয়েছে আলজাজিরা।

হাইলেমারিয়াম জানান, যতদিন না দেশটির ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল ইথিওপিয়ান পিপল’স রেভুলিউশনারি ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (এপিআরডিএফ) ও পার্লামেন্ট তার পদত্যাগ গ্রহণ করে নতুন কোন প্রধানমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করবে ততদিন তিনি তত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাবেন।

এপিআরডিএফ স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সকালে হাইলেমারিয়ামের পদত্যাগ গ্রহণ করেছে। এছাড়া, ইথিওপিয়ার পার্লামেন্ট শুক্রবার হাইলেমারিয়ামের উত্তরসূরি ঠিক করতে বৈঠকে বসবে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়ার্কনেহ গেবেইয়েহুকে এক্ষেত্রে মুখ্য প্রার্থী হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, ইথিওপিয়ায় ২০১৫’র শেষের দিক থেকে স্বাধীনতা বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়। অরমা ও আমহারা অঞ্চল থেকে শুরু করে ধীরে ধীরে পুরো দেশে ছড়িয়ে পড়ে বিক্ষোভ। বিক্ষোভ তীব্র হওয়ার কারণে একমাসব্যাপি জরুরি অবস্থা জারি থাকে পুরো দেশজুড়ে। পরবর্তীতে অবশ্য তা প্রত্যাহার করা হয়। সরকারের বিরুদ্ধে বহুদিন ধরেই সাংবাদিক ও বিরোধী দলীয় নেতাদের গ্রেপ্তারের অভিযোগ রয়েছে। মানবাধিকার সংগঠন ও বিরোধী দলগুলো গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তি দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

এই বছরের জানুয়ারিতে হাইলেমারিয়াম ঘোষণা দেন যে, তার সরকার বন্দীদের মুক্তি দেবে। এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৭ হাজার বন্দী মুক্তি পেয়েছে বা তাদের আনীত অভিযোগ প্রত্যাহার করা হয়েছে। শিক্ষাবীদ থেকে রাজনৈতিক হওয়া হাইলেমারিয়াম ২০১২ সালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী মেলেস জেনাওয়ি’র মৃত্যুর পর ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। মেলেস এর শাসনামলে উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন হাইলেমারিয়াম। ২০১৩ সালে তি৯নি আফ্রিকান ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

(জাস্ট নিউজ/ওটি/১৫৪০ঘ.)