ব্রিটিশ মন্ত্রিসভায় বড় রদবদল

ব্রিটিশ মন্ত্রিসভায় বড় রদবদল

ব্রেক্সিট সম্পন্ন করার পর মন্ত্রিসভায় ব্যাপক পরিবর্তন এনেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। শর্ত মানতে না পারায় পদত্যাগ করেছেন অর্থমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ।

এক প্রতিক্রিয়ায় জাভিদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে যে শর্ত দেয়া হয়েছে তা কোনো আত্মমর্যাদাসম্পন্ন মন্ত্রীর পক্ষে মানা সম্ভব নয়। সাজিদ জাভিদের জায়গায় নতুন অর্থমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন রিশি সুনাক।

মাত্র ৭ মাস আগেও সুনাক কনিষ্ঠ গৃহায়নমন্ত্রী ছিলেন। তিনি ভারতীয় বংশোদ্ভূত রাজনীতিক এবং ইনফোসিসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা নারায়ণ মূর্তির জামাতা। জুলাইয়ে জনসন প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জাভিদকে অর্থমন্ত্রী করেছিলেন।

তার পদত্যাগে গুঞ্জন উঠেছে যে, প্রধানমন্ত্রীর জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা ডমিনিক কামিংসের সঙ্গে উত্তেজনার কারণেই পদত্যাগ করেছেন জাভিদ।

খবরে বলা হচ্ছে, জাভিদকে বলা হয়েছিল তার সব বিশেষ উপদেষ্টাদের বাদ দিয়ে ১০নং ডাউনিং স্ট্রিটের বিশেষ উপদেষ্টাদের নিয়ে একটি নতুন টিম গঠন করতে। তবে এ শর্ত মানতে রাজি হননি জাভিদ। খবর বিবিসির।

নর্দান আয়ারল্যান্ড সেক্রেটারি জুলিয়ান স্মিথ এবং বিজনেস সেক্রেটারি আন্দ্রিয়া লিডসমকে বরখাস্ত করা হয়েছে। মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে হাউজিং সেক্রেটারি এস্থার ম্যাকভেই এবং এনভায়রনমেন্ট সেক্রেটারি থেরেসা ভিলারকেও।

অ্যাটর্নি জেনারেল জেওফ্রে কক্সকে পদত্যাগ করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে বহাল আছেন প্রীতি প্যাটেল। পররাষ্ট্রমন্ত্রী পদে আছেন ডমিনিক রাব।

কেবিনেট অফিসের মন্ত্রীর দায়িত্বে থাকছেন মাইকেল গোভও। ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট সেক্রেটারি অলক শর্মাকে বিজনেস সেক্রেটারি থেকে সরিয়ে আগামী জলবায়ু সম্মেলন কপ-২৬ এর মন্ত্রী করা হয়েছে।

তার জায়গায় নিয়োগ পেয়েছেন কনিষ্ঠ প্রতিরক্ষামন্ত্রী আনা-মারি ট্রেভেলিয়ান। এইচএস-২ রেল লাইন নির্মাণ দেখভালে বরিস জনসন একজন নতুন মন্ত্রী নিয়োগ করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। লেবার পার্টির ছায়া অর্থমন্ত্রী জন ম্যাকডোনেল বলেছেন, ক্ষমতায় আসার মাত্র দুই মাসের মধ্যে সরকারের এ সংকট ঐতিহাসিক ঘটনা হবে।

৩১ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে ইইউ ত্যাগ (ব্রেক্সিট) করেছে যুক্তরাজ্য। ব্রেক্সিট এখন পূর্বসম্মত অবস্থায় রয়েছে। যুক্তরাজ্য ও ইইউর মধ্যে বাণিজ্য আলোচনা আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে মার্চে।

একেবারে মুক্ত হতে ২৭ জাতির অর্থনৈতিক জোট ইইউর সঙ্গে একটা চুক্তি প্রয়োজন রয়েছে তাদের। এরপর বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তির জন্য মুক্ত হবে লন্ডন।

এমজে/