চীনে করোনা ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ২৬৬৩, আক্রান্ত ৮০ হাজার

চীনে করোনা ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ২৬৬৩, আক্রান্ত ৮০ হাজার

চীনে করোনা ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৬৬৩ জনে। এর মধ্যে নতুন করে প্রাণহানি ঘটেছে ৭১ জনের। গত দুই সপ্তাহের মধ্যে এখন পর্যন্ত এটিই সবচেয়ে কম প্রাণহানির সংখ্যা।

এ ছাড়া শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আজ মঙ্গলবার আক্রান্তের সংখ্যা ৭৯ হাজার ৭৭৩ বলে জানা গেছে। চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম দ্য স্ট্রেইটস টাইমস এ খবর জানিয়েছে।

এদিকে, চীনে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ কমে এলেও অন্যান্য দেশে বেড়ে চলেছে এর প্রকোপ। এর মধ্যে ইরানের অনেক এলাকা এখন কার্যত অচল হয়ে পড়েছে। দেশটির সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে কয়েকটি দেশ। সচল এলাকাগুলোতে আতঙ্কিত মানুষরা মাস্ক পরে চলাফেরা করছেন। রাজধানী তেহরানে কাজের সময়ও ভিড় অপেক্ষাকৃত কম লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সব জায়গায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার মাত্রা বেড়ে গেছে। ১০টি প্রদেশে বন্ধ রাখা হয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। মাস্ক বা দস্তানার মতো প্রতিরোধ সরঞ্জামের দাম বেড়ে যাওয়ায় জনমনে অসন্তোষ রয়েছে।

ইরানের এক শ্রমিক বলেন, ‘সব জায়গায় মাস্কের দাম বেড়েছে। আমার মতো একজন সাধারণ শ্রমিক কীভাবে তা কিনি বলুন তো? আমার পরিবারে তো আমি একা নই। সবার জন্যই মাস্ক কিনতে হবে।’

খুব দ্রুত দক্ষিণ কোরিয়ায় বাড়ছে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। রাজধানী ছাড়িয়ে এটি ছড়িয়ে পড়েছে পুরো দেশে। সেখানেও অব্যাহত আছে পরিচ্ছন্নতা অভিযান।

এরই মধ্যে ভাইরাস সংক্রমণ বাড়তে থাকায় ইতালির কার্নিভাল (উৎসব) বাতিল করা হয়েছে। বেশ কিছু শহরের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিখ্যাত পোশাক নকশাকার জর্জিও আরমানি লাইভ ফ্যাশন শো বাতিল করে ভিডিও স্ট্রিমিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন।

করোনাভাইরাসের উৎপত্তিস্থল চীন। সেখানে সংক্রমণ কিছুটা কমে এলেও, উৎকণ্ঠা ও ঘটনাবহুল সময় কাটছে সবার। হৃদয়বিদারক ঘটনার সংখ্যাও কম নয়। যেমন গত বৃহস্পতিবার এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হওয়া ২৯ বছর বয়সী চিকিৎসক পেং ইনহুয়ার কথা বলা যায়। রোগীদের সেবা দেওয়ার জন্য বিয়ে পিছিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। পরে বিয়ে শেষে কাজে ফিরলেও শেষ রক্ষা হয়নি। ৪৮ ঘণ্টার লড়াই শেষে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে ছেড়ে চলে যেতে হলো এই চিকিৎসককে।