হুবেইয়ের জন্য বেজিংয়ের দরজা বন্ধ

চীনে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৭৪৭

চীনে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৭৪৭

 

চীনের উহান শহর থেকে নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণে মৃতের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। পাশাপাশি আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে আশঙ্কাজনক হারে। নতুন এ প্রাণঘাতী ভাইরাসে মৃত্যুর মিছিল অব্যাহত থাকায়, সুরক্ষামূলক পদক্ষেপ হিসেবে হুবেই প্রদেশকে এক রকম একঘরেই করে ফেলল বেজিং। হুবেই থেকে কোনো ব্যক্তিকে আর বেজিংয়ে ঢুকতে দেওয়া হবে না। বৃহস্পতিবার এমন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে বেজিং। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বলবত্‍‌ থাকবে।

চীনের এই হুবেই প্রদেশই হল প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের গর্ভগৃহ। এখান থেকে চীনের অন্যান্য প্রদেশ ছাড়াও চীনের সীমানা পেরিয়ে বহির্বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাস। বেজিংয়ের এই নিষেধাজ্ঞা আরোপের কারণ সেখানেও করোনার বাড়বাড়ন্ত। ইতিমধ্যে বেজিংয়ে ৫ জন করোনার বলি হয়েছেন। বেজিংয়ে সরকারিভাবে আক্রান্তের সংখ্যা ৪১০। সরকারি হিসেবে, শুধু চীনেই করোনায় মারা গেছেন ২ হাজার ৭৪৭ জন। আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজার।

প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের রাশ টানতেই প্রকোপের উৎসভূমি হুবেইয়ের লোকজনকে দূরে রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এছাড়া করোনাভাইরাস আক্রান্ত অন্যান্য দেশ থেকে যে বিদেশিরা বেজিংয়ে এসেছেন, সুরক্ষার জন্য তাদেরও ১৪ দিনের জন্য একটি জায়গায় আলাদা করে রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ওই ১৪ দিন বিদেশিদের ভালো করে পর্যবেক্ষণের পর, মেডিক্যাল রিপোর্ট দেখে, তবেই শহরে ঘোরার ছাড়পত্র দেওয়া হবে।

এদিকে, দক্ষিণ কোরিয়াতেও করোনাভাইরাসের প্রকোপ কমার লক্ষণ আপাতত নেই। সরকারি একটি সূত্রে বলা হয়, বৃহস্পতিবার নতুন করে ৫০৫ জনের করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এর অধিকাংশই দেগু শহরে। দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রাণঘাতী এই ভাইরাস সংক্রমণের মূলঘাঁটি এই দেগু শহর।

সবমিলিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত ১ হাজার ৭৬৬ জন। মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৩। করোনা সংক্রমণের জেরে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ সামরিক মহড়া পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। সরকারি এক বার্তায় বলা হয়, পরবর্তী নোটিশ না দেওয়া পর্যন্ত এই যৌথ মহড়া পেছানো হল।