করোনাভাইরাস নিয়ে ডা. দেবি শেঠী কোনো অডিও বার্তা দেননি; খবরটি ভুয়া

করোনাভাইরাস নিয়ে ডা. দেবি শেঠী কোনো অডিও বার্তা দেননি; খবরটি ভুয়া

যখন মানুষের মাঝে আতঙ্ক কাজ করে সেই সুযোগে শক্তিশালী হয়ে ওঠে গুজব। ভুয়া সংবাদ। করোনাভাইরাস আতঙ্কের মধ্যে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভারতের প্রখ্যাত চিকিৎসক ডা. দেবি শেঠীর নামে একটি অডিও ক্লিপ ছড়িয়ে পড়েছে। সেটি নিয়ে সংবাদ প্রচার করেছে ভারত-বাংলাদেশ দু’দেশেরই গণমাধ্যম।

ভারতের বিখ্যাত ‘নারায়াণা হেলথ’ সেন্টারের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. দেবি শেঠীর নামে প্রচার করা সেই অডিও ক্লিপে বলা হয়েছে, যদি কারো ফ্লু বা সর্দি থাকে, প্রথমে নিজেকে আইসোলেট করে লক্ষণ ভালো করে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। প্রথম দিন শুধু ক্লান্তি আসবে। তৃতীয় দিন হালকা জ্বর অনুভব হবে। সঙ্গে কাশি ও গলায় সমস্যা হবে। পঞ্চম দিন পর্যন্ত মাথা যন্ত্রণা। পেটের সমস্যাও হতে পারে। ষষ্ঠ বা সপ্তম দিনে শরীরে ব্যথা বাড়বে এবং মাথা যন্ত্রণা কমতে থাকবে। তবে ডায়েরিয়ার লক্ষণ দেখা দিতে পারে। পেটের সমস্যা থেকে যাবে। এবার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অষ্টম ও নবম দিনে সব লক্ষণই চলে যাবে। তবে সর্দির প্রভাব বাড়তে থাকে। এর অর্থ আপনার প্রতিরোধক্ষমতা বেড়েছে এবং আপনার করোনার আশঙ্কা নেই।

সেই অডিও ক্লিপে আরও বলা হয়েছে, এমন সময়ে আপনার করোনাভাইরাসের পরীক্ষার প্রয়োজন নেই। কারণ আপনার শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে গেছে। যদি অষ্টম বা নবম দিনে আপনার শরীর আরও খারাপ হয়, করোনা হেল্পলাইনে ফোন করে অবশ্যই পরীক্ষা করে নিন।

ডা. দেবি শেঠীর নামে প্রচারিত অডিও ক্লিপে আরও বলা হয়েছে, ভারতের কাছে এ মুহূর্তে দেড় লাখ পরীক্ষার কিট রয়েছে এবং সর্বোচ্চ দেড় কোটির পরীক্ষা সম্ভব। তাই জ্বর হওয়ার দ্বিতীয় বা তৃতীয় দিনেই প্রত্যেকেরই করোনা পরীক্ষার প্রয়োজন নেই। এতে আরও বড় সমস্যা হবে। আমার পরামর্শ হলো, জ্বর হলেই করোনার পরীক্ষা নয়।

এ বিষয়ে দেবি শেঠীর মতামত নিয়েছে ‘দ্যা কুইন্ট’। এমন কোনো অডিও ক্লিপ ছাড়ার বিষয়টি তিনি স্পষ্ট ভাষায় নাকচ করে দিয়েছে। তিনি বলেছেন, এটি আমি নয়। অন্য কারও কণ্ঠ এটা। আমার নাম ব্যবহার করা বিভিন্ন ভুয়া বার্তা ছড়ানো হচ্ছে।

গণমাধ্যম এনডিটিভিকে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন ডা. দেবি শেঠী। সেই সাক্ষাৎকারের সাথে আলোচ্য অডিওটি মিলিয়ে দেখেছে দ্যা কুইন্ট। বলাই বাহুল্য, সে দুটি মেলেনি। আরও একটি গুরুত্বর্পূণ বিষয় হলো যে ব্যক্তির অডিও ছড়িয়েছে, তিনি নিজেকে একবারের জন্যও দেবি শেঠী বলে উল্লেখ করেননি।

এমজে/