করোনা: জনগণের জন্য ইতিহাসের সর্বোচ্চ বরাদ্দ দিল যুক্তরাষ্ট্র

করোনা: জনগণের জন্য ইতিহাসের সর্বোচ্চ বরাদ্দ দিল যুক্তরাষ্ট্র

বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক ক্ষতি মোকাবিলায় এবং জনগণের পাশে দাঁড়াতে সুদূরপ্রসারী ব্যবস্থা নিতে ২ লাখ কোটি ডলারের প্রণোদনা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ঐতিহাসিক এই পদক্ষেপের ব্যাপারেহোয়াইট হাউস ও সিনেট সদস্যরা একমত হয়েছেন।

স্থানীয় সময় বুধবার সকালে হোয়াইট হাউসে এ চুক্তিতে সাক্ষর করে সিনেট নেতারা। করোনাভাইরাসের মহামারীর প্রেক্ষাপটে এই চুক্তি মার্কিন কংগ্রেসের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

হোয়াইট হাউসের আইনসভাবিষয়ক পরিচালক এরিক উয়েল্যান্ড বলেন, 'গত শুক্রবার থেকে এ বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি। শেষ পর্ন্ত আমরা চুক্তি করতে পেরেছি।'

সিনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা মিচ ম্যাককনেল চুক্তির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়ে বলেন, 'গত কয়েকদিন ধরে এ নিয়ে আলোচনা চলছিল। কিন্তু বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সিনেটের ডেমোক্রেট ও রিপাবলিকান আইনপ্রণেতারা দ্বিধাবিভক্ত ছিলেন। অবশেষে আমরা একটি চুক্তি করতে পেরেছি। করোনাভাইরাসের এই মহামারি মোকাবিলায় আমরা একটি ঐতিহাসিক ত্রাণ প্যাকেজ নিয়ে একমত হতে পেরেছি।'

বুধবার দীর্ঘ আলোচনার পর এ ব্যাপারে সম্মতিতে পৌঁছায় দুই পক্ষ।

করোনভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে শ্রমিক, ব্যবসায়ী ও স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থায় সহায়তার জন্য এই বড় অঙ্কের আর্থিক চুক্তি হলো। নানা চাপ আর দ্বিধাদ্বন্দ্ব শেষে এ চুক্তি হলো।

এ প্যাকেজটির বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য এখনো প্রকাশিত হয়নি। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় যেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়ে তার ভিত্তিতি সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, এই বরাদ্দের মাধ্যমে বেশিরভাগ আমেরিকানকে সরাসরি আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে, বেকারদের সুবিধাগুলি বাড়বে এবং ঘরে বসে থেকেও শ্রমিকরা উপার্জন চালিয়ে যেতে পারবে। হাসপাতালগুলোও পাশাপাশি উল্লেখযোগ্য সহায়তা পাবে।

ব্যক্তি ও পরিবারকে সহায়তার জন্য ২৫ হাজার কোটি ডলার, ছোট ব্যবসায় ঋণ হিসেবে দেয়ার জন্য ৩৫ হাজার কোটি ডলার, বেকারদের সুবিধা দেয়ার জন্য ২৫ হাজার কোটি ডলার এবং ক্ষতিগ্রস্ত কোম্পানিগুলোকে সহায়তা দেবার জন্য ৫০ হাজার কোটি ডলার ব্যয় করা হবে।

এদিকে ইউরোপের পর যুক্তরাষ্ট্র করোনাভাইরাস বিস্তারের নতুন কেন্দ্র হয়ে উঠতে পারে বলে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

জরিপ পর্যালোচনাকারী সংস্থা ওয়ার্ল্ড ওমিটার এর তথ্য অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্ত হয়েছে ৫৪ হাজার ৮৬৭ জন। এর মধ্যে ৭৮২ জনের মৃত্যু হয়েছে।

করোনাভাইরাস বৈশ্বিক মহামারিতে এ পর্যন্ত বিশ্বের ১৯৬টি দেশ ও অঞ্চল আক্রান্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত বিশ্বে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪ লাখ ২২ হাজার ৮২৯ জন। আর করোনায় আক্রান্ত হয়ে বিশ্বে মারা গেছেন ১৮ হাজার ৯০৭ জন। আক্রান্ত হয়েছেন চার লাখের বেশি মানুষ।