শাকসবজি-ফলের অভাব দেখা দিচ্ছে ইউরোপে

শাকসবজি-ফলের অভাব দেখা দিচ্ছে ইউরোপে

করোনাভাইরাস মহামারী মোকাবেলায় ইউরোপের বেশির ভাগ দেশ লকডাউন। এ কারণে বিশ্বজুড়ে ফল ও শাকসবজি উৎপাদন ও সরবরাহের কাজ ব্যাহত হচ্ছে। এতে ইউরোপে শিগগিরই তাজা ফল ও শাকসবজির অভাব দেখা দিতে পারে বলে হুঁশিয়ারি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

এ পরিস্থিতিতে কৃষক ও অভিবাসী কর্মীদের জন্য ভ্রমণসংক্রান্ত নীতিমালা শিথিল করার কথাও ভাবছে ইউরোপ। মহাদেশটির সুপারমার্কেটগুলোতে এখনো তাজা খাবারের ঘাটতি নেই। তবে শাকসবজির প্রধান জোগানদাতা আফ্রিকার দেশগুলোতে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ায় চাপ সৃষ্টি হয়েছে। ইউরোপে বাজারে মটর ও শিম আসে কেনিয়া থেকে। চাহিদা বাড়লেও সম্প্রতি অর্ডার সরবরাহ করতে সমস্যা দেখা দেয়ায় এ সেক্টরের অর্থেক কর্মীদের বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। কেনিয়ার ফ্রেশ প্রোডিউস কনসোর্টিয়ামের প্রধান নির্বাহী অকিসেগেরে ওজেপাত বলেন, ‘ইউরোপের মজুদ প্রতিদিন কমছে।’

এ দিকে আরেক প্রধান সরবরাহকারী দেশ সাউথ আফ্রিকা ২১ দিনের জন্য লকডাউনের ঘোষণা দেয়ায় ইউরোপে খাবারের জোগান ঠিক রাখা আরো কঠিন হয়ে উঠেছে। যুক্তরাজ্যে ফল ও সবজি রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান ফ্রুটস আনলিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর হান্স ম্যুলায়ের্ট গেলেইন বলেন, ‘এ সপ্তাহের শুরুতেও আমরা ভালো অবস্থায় ছিলাম কিন্তু এখন সবকিছু খুব কঠিন হয়ে যাচ্ছে। ফ্লাইট বাতিলের পরিমাণ বাড়ছে। তাই বড়সড় ব্যাঘাত ঘটার আশঙ্কা করছি আমি।’

এ ছাড়া যেসব বিমান চালু রয়েছে, তারা বেশি ভাড়া আদায় করছে। গত দুই সপ্তাহে খাদ্যদ্রব্যের দাম তিন গুণ বেড়েছে। সমুদ্রপথে যাতায়াতে বিধিনিষেধ ও ট্রাক ড্রাইভারের সংখ্যা কমে যাওয়ায় সরবরাহে বিঘ্ন ঘটছে। কনটেইনারের স্বল্পতা দেখা দেয়ায় বেশি সময় ধরে তাজা থাকা সাইট্রাসজাতীয় ফল সরবরাহ কমে যেতে পারে। এ মুহূর্তে ইউরোপে ভিটামিন ‘সি’ সমৃদ্ধ কমলা ও লেবু এবং গাজর, বাঁধাকপিসহ বিভিন্ন সবজির চাহিদা বেড়েছে, জানান ফ্রেশ প্রোডিউস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব কেনিয়ার প্রধান হোসিয়া মাচুকি। এ দিকে স্পেনসহ ইউরোপের দেশগুলোতে অভিবাসী কর্মীর স্বল্পতা দেখা দেয়ায়ও উৎপাদনে বিঘ্ন ঘটছে। এতে সামনের দিনগুলোতে ইউরোপে খাদ্যসঙ্কট দেখা দিতে পারে। সূত্র : রয়টার্স

এমজে/