যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্যকর্মীরা করোনাভাইরাসের প্রকোপ ঠেকাতে কাজ করতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে মারা যাচ্ছেন। কেবল ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যেই অন্তত ৩৫ জন ডাক্তার এবং নার্স এই ভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন। এ ছাড়া স্বাস্থ্যকর্মীরা আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে ইলিনইস, নিউ জার্সি, নিউইয়র্কসহ অন্যান্য রাজ্যেও। করোনাভাইরাসে পরীক্ষার কিট এবং পিপিই সংকটের কারণেই পরিস্থিতি এমন বেগতিক হচ্ছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
গত সপ্তাহে পরীক্ষার পর করোনা ধরা পড়ে মিসোরি রাজ্যের সেন্ট লুইসের সেন্ট ম্যারি হসপিটালের নার্স জুডি উইলসন গ্রিফফিনের। পরে তিনি মারা যান। জর্জিয়ায় দুজন স্বাস্থ্য সেবাকর্মী দায়িত্ব পালনকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর মারা যান। তাদের মধ্যে ৪৮ বছর বয়সী এক নারী কাজ করতেন ডোনালসলভিলে হাসপাতালে এবং ৪২ বছর বয়সী অপর একজন পেডমন্ট নিউনান হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন।
স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ম্যানহাটনে ৪৮ বছর বয়সী একজন নার্স করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। কয়েকদিন আগে এই ভাইরাস ধরা পড়ার পর গত মঙ্গলবার তিনি মারা যান।
যুক্তরাষ্ট্রের চিকিৎসক, নার্স এবং হাসপাতালে কর্মরত অন্যরা বেশ কিছুদিন থেকেই ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রীর (পিপিই) অভাবের কথা বলে আসছেন। সুরক্ষা স্যুট, মাস্ক, গ্লোভস, হেড কভার প্রয়োজনের তুলনায় পাচ্ছেন না তারা। সে কারণে অনেক বেশি ঝুঁকির মধ্যে কাজ করতে হচ্ছে তাদের।
সিয়াটলের একটি হাসপাতালের নার্স ডন আলদিনজার বলেন, ‘আমাদের হাসপাতালের প্রত্যেকেই নিজের অবস্থান থেকে সর্বোচ্চটা দিয়ে কাজ করছে। আমাদের বিশ্বাস, এই সঙ্কট আমরা কাটিয়ে উঠতে পারব।’
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চিকিৎসকদের পিপিই সরবরাহ করা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। কারণ, তারা সুস্থ না থাকলে অন্যদের সেবা দেওয়া বাধাগ্রস্ত হবে।
এরই মধ্যে অবশ্য চিকিৎসক এবং নার্সদের মধ্যে কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্তের শঙ্কা তৈরি হলে জরুরি ভিত্তিতে কিছু রাজ্যে পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ওয়াশিংটনেও চিকিৎসক এবং নার্সদের অনেকেই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তবে সঙ্গত কিছু কারণে সেই সংখ্যা প্রকাশ করা হয়নি।
এমজে/