করোনার জেরে কসোভোয় সরকার পতন

করোনার জেরে কসোভোয় সরকার পতন

করোনাভাইরাস সংকটে প্রথমবারের মতো সরকার পতন হল ইউরোপের দেশ কসোভোয়। মহামারী প্রতিরোধ নিয়ে কয়েক দিন ধরে ক্ষমতাসীন জোট সরকারের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের জেরে বুধবার সরকারের পতন ঘটে। খবর এএফপির।

শুক্রবার প্রকাশিত খবরে বলা হয়, পার্লামেন্টের সংখ্যাগরিষ্ঠ এমপি প্রধানমন্ত্রী আলবিন কুর্তির বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রকাশ করলে পতন নিশ্চিত হয়। এর ফলে করোনার মতো বৈশ্বিক মহামারী প্রতিরোধে অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে দেশটির জনগণ।

তবে নতুন করে সরকার গঠন না হওয়া পর্যন্ত আলবিন কুর্তি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

কসোভা স্বাস্থ্য ইন্সটিটিউটের বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়, দেশটিতে প্রথম একজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছে। ওই ব্যক্তির বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। এছাড়াও নানা জটিল রোগে আক্রান্ত ছিলেন বলে কসোভা স্বাস্থ্য ইন্সটিটিউটের বিবৃতিতে বলা হয়। ইউরোপের সর্বশেষ স্বাধীন মুসলিম দেশ কসোভা প্রায় ২০ লাখ মানুষের বাস দেশটিতে।

এএফপি জানায়, ক্ষমতাসীন জোট সরকারের শরিক দল এলডিকে থেকে নিয়োগ পাওয়া স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে বরখাস্তের জের ধরে জোটের মধ্যে টানাপোড়েন চলছিল। শেষ পর্যন্ত বরখাস্ত স্বাস্থ্যমন্ত্রীর উত্থাপিত অনাস্থা ভোটেই পতন হয় সরকারের।

এলডিকের অভিযোগ, তাদের দলের একজন মন্ত্রীকে প্রধানমন্ত্রী বরখাস্ত করতে যাচ্ছেন অথচ জোটের সঙ্গে আলোচনা করেননি। এটা কোয়ালিশন সরকারের নীতিমালার লঙ্ঘন। শেষ পর্যন্ত জোট শরিকদের পক্ষ থেকে অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটে। প্রায় ১২ ঘণ্টার তুমুল বিতর্কের পর ভোটাভুটি হয়। এতে সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রকাশ করে ভোট দেন ১২০ এমপির ৮০ জন।

কসোভায় করোনা মহামারী ঠেকাতে জরুরি অবস্থা জারি করেন প্রেসিডেন্ট হাশিম থাসির। এই পদক্ষেপকে প্রকাশ্যেই সমর্থন দিয়েছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এতে তার ওপর ক্ষুব্ধ হন প্রধানমন্ত্রী কুর্তি।

ধারণা করা হচ্ছে, এই ঘটনার কারণেই তাকে বরখাস্ত হতে হয়। কসোভাতে এ পর্যন্ত ৭০ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে এখন পর্যন্ত একজনের মৃত্যু হয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, সরকার পতনের কারণে দেশটিতে বড় ধরনের সংকট সৃষ্টি হবে। করোনাভাইরাসের কারণে নতুন নির্বাচন আয়োজন করা কঠিন হবে।