পশ্চিমবঙ্গে একদিনে এক লক্ষের বেশি মানুষ হোম কোয়ারেন্টিনে

পশ্চিমবঙ্গে একদিনে এক লক্ষের বেশি মানুষ হোম কোয়ারেন্টিনে

নজিরবিহীনভাবে পশ্চিমবঙ্গেও স্বাস্থ্য দপ্তর সতর্কতা হিসেবে এক দিনে এক লক্ষের বেশি সন্দেহভাজন মানুষকে হোম কোয়ারেন্টিনে (গৃহ পর্যবেক্ষনে) থাকার নির্দেশ দিযেছে। গত সোমবার পর্যন্ত রাজ্যে ৪৭৩০১ জন গৃহ পর্যবেক্ষনে ছিলেন। এর ২৪ ঘন্টার মধ্যেই আরও এক লক্ষ ৩হাজার ৪১৯ জনকে গৃহ পর্যবেক্ষনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরে এক বুলেটিনে মঙ্গলবার রাতে জানানো হয়েছে। এত বেশি সংখ্যক মানুষকে গৃহ পর্যবেক্ষনে রাখার যে ব্যাখ্যা পাওয়া গিয়েছে তাতে বলা হয়েছে, বিদেশ থেকে যারা এসেছেন বা অন্যরাজ্য থেকে যারা এসেছেন তারা এবং তাদের সংস্পর্শে যেসব মানুষ এসেছেন এবং সংক্রামিতদের সঙ্গে মেলামেশা করেছে এমনদের চিহ্নিত করেই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

এরই মধ্যে স্বাস্থ্য দপ্তরকে উদ্বেগে ফেলেছে সম্প্রতি দিল্লি নিজামুদ্দিনে তাবলিগ জামায়তে যোগ দেওয়া রাজ্যে ৭৩ জনের খোঁজে চলছে জোর অনুসন্ধান। এই তাবলিগ জামায়েত থেকে রাজ্যে রাজ্যে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে তাবিলিগ জামায়েতে অংশ নেওয়া ১০ জনের বিভিন্ন রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে। তবে রাজ্য থেকে যাওয়া ৪০ জনকে শনাক্ত করে হজ হাউসে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।

বাকীদের খোঁজ চলছে। পশ্চিমবঙ্গে গত কয়েকদিনে সংক্রমনের হার বাড়ছে বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার পর্যন্ত রাজ্যে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার ও মঙ্গলবার ৩জনের মৃত্যু হযেছে। বাকী দুজনের মৃত্যু হয়েছিল গত সপ্তাহে। রাজ্যে একদিনে ১৫ জনের শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়ায় মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৭ জনে। তবে সংক্রমণ যেভাবে বাড়ছে তাতে চিন্তিত রাজ্য সরকার ৭জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে নিয়ে করোনা চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে পরামর্শ নিতে একটি কমিটি তৈরি করেছেন।স্বাস্থ্য দপ্তর বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে কর্মরত হাউসস্টাফদের কাজের মেয়াদ ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়িয়ে দিয়েছে। চিকিৎসক সঙ্কট যাতে দেখা না দেয় সেজন্যই এই ব্যবস্থা বলে জানা গেছে।

এমজে/