বিশ্ব এক হলেই শুধু করোনা মোকাবেলা সম্ভব: অ্যান্তোনিও গুতেরেস

বিশ্ব এক হলেই শুধু করোনা মোকাবেলা সম্ভব: অ্যান্তোনিও গুতেরেস

জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, শুধু ঐক্যবদ্ধ হওয়ার মাধ্যমে মহামারী কোভিড ১৯ (করোনাভাইরাস) এবং এর ভয়াবহ পরিস্থিতি মোকাবেলা করা সম্ভব।

বৃহস্পতিবার এক জরুরি ভার্চুয়াল মিটিংয়ে জি-২০ নেতারা সঠিক পদক্ষেপ নিয়েছেন। কিন্তু নজিরবিহীন সমস্যা মোকাবেলায় সমন্বিত ব্যবস্থা গ্রহণে আমরা এখনও অনেক দূরে আছি। বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ানে প্রকাশিত এক নিবন্ধে তিনি এসব কথা বলেন।

করোনাভাইরাসের আক্রান্তের ব্যাপকতা দিন দিন বাড়ছে। ৬৭ দিনে ভাইরাসটি এক লাখ মানুষকে আক্রান্ত করেছে। এখন দিনে এক লাখ মানুষ ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হচ্ছেন।

সম্মিলিত ও সাহসী পদক্ষেপের অভাবে ভাইরাসটিতে আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়বে, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে, অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দেবে, গরিবরা আরও গরিব হবেন। সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতির জন্য আমাদের অবশ্যই প্রস্তুতি নিতে হবে এবং মহামারী রোধে আমাদের সবকিছু করতে হবে। করোনা মোকাবেলায় বিজ্ঞান, সংহতি ও স্মার্ট কর্মসূচি- এ তিনটির ভিত্তিতে কর্মপন্থা গ্রহণ করতে হবে।

প্রথমত, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দমন করতে হবে। এজন্য প্রাথমিক পর্যায়ে ব্যাপক পরীক্ষা এবং আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের দ্রুত চিহ্নিত করতে হবে।

প্রথমদিকের আক্রান্ত ব্যক্তিদের কোয়ারেন্টিন, চিকিৎসা এবং নিরাপদে রাখতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। চলাচল ও যোগাযোগের ওপর সমন্বিত ব্যবস্থা আরোপ করতে হবে। করোনার ভ্যাকসিন বা ওষুধ আবিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত এমন ব্যবস্থা অব্যাহত রাখতে হবে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুসারে এসব করতে হবে। দ্বিতীয়ত, এ দুর্যোগকালে সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থা রক্ষা করতে হবে। করোনাভাইরাস দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ছে।

এটি ঘনবসতিপূর্ণ, জনাকীর্ণ বস্তি ও শরণার্থী অধ্যুষিত অঞ্চলে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। এভাবে করোনা ছড়িয়ে পড়লে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে মহামারী দেখা দেবে।

তৃতীয়, আমাদের দ্রুত স্বাভাবিক অবস্থা পুনরুদ্ধার করতে হবে। করোনার থাবার কারণে সৃষ্ট দুর্যোগ পরিস্থিতি থেকে আমরা সহজে আগের অবস্থানে ফিরে যেতে পারব না।

এ মহামারী আমাদের স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে- দুর্বল স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, সামাজিক নিরাপত্তা ও দুর্বল জনসেবার কারণে আমাদের চরম মূল্য দিতে হচ্ছে। এখন সময় এসেছে- টেকসই অর্থনীতি ও সমাজ ব্যবস্থা পুনর্নিমাণে আমাদের তিনগুণ চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।

এমজে/