৮৬ দিন পর প্রথম করোনায় ‘মৃত্যুশূন্য দিন’ দেখল নিউইয়র্ক

৮৬ দিন পর প্রথম করোনায় ‘মৃত্যুশূন্য দিন’ দেখল নিউইয়র্ক

মারণ ভাইরাস করোনায় বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বিপর্যস্ত ও হটস্পট নিউইয়র্ক শহরে গত ২৪ ঘণ্টায় কোন মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। মার্চ মাসের ১১ তারিখের পর বুধবার প্রথম মৃত্যুশূন্য কোন দিন দেখল নিউইয়র্কবাসী।

নগরীর মেয়র ডি ব্লাজিওর মুখপাত্র ফ্রেডি গোল্ডস্টেইন বলেন, ‘আজ আমরা করোনাভাইরাসে মৃত্যুর কোন খবর পাইনি। তিনি আরও জানান,নিউইয়র্কে কভিড-১৯ ভাইরাসে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যাও হ্রাস পেয়েছে, যা সত্যি ভালো খবর।'

যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ অঙ্গরাজ্য নিউইয়র্কে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ৩ লাখ ৮৪ হাজার জন। মৃত্যু হয়েছে ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষের। বিশ্বের মধ্যে নিউইয়র্কের অবস্থাই সবচেয়ে শোচনীয়। তবে পরিস্থিতির উন্নতি হতে শুরু করেছে এটা আবশ্যই নিউইয়র্কবাসীর জন্য সুখবর।

করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় তিন ধাপে ব্যবসা বাণিজ্য খুলে দেয়া হবে বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন নগরীর মেয়র ব্লাজিও। বলেন, হাসপাতালগুলোতে করোনা রোগীর সংখ্যা কমে এসেছে। আইসিউতে রোগীর সংখ্যা বেশি নেই, এটা সত্যি ভালো খবর। আমরা আস্তে আস্তে আবার আগের মতো সব কিছু খুলে দেব।

করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকলেও অনেক দেশই স্কুল ও কর্মক্ষেত্র খুলে দিয়ে লকডাউন শিথিলের পথে হাঁটছে। যুক্তরাষ্ট্রে প্রথমবারের মতো করোনার টিকা মানুষের ওপর পরীক্ষায় ইতিবাচক ফলাফলের খবরে আর্থিক বাজারগুলোতে সামান্য উর্ধগতিও দেখা গেছে।

করোনার প্রকোপের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি ধীরে ধীরে চালু হচ্ছে। আজ শুক্রবার থেকে পুনরায় সেখানকার সবকিছু চালু করা হবে। যদিও ওয়াশিংটন ডিসির মেয়র মুরিয়েল বাউসার সতর্ক করে বলেছেন যে, এর ফলে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আরও বেড়ে যেতে পারে।

ওয়াশিংটনের রেস্টুরেন্টগুলোও খুলে দেয়া হবে। তবে রেস্টুরেন্টের বাইরে টেবিল-চেয়ার বিছিয়ে লোকজনকে খাবার পরিবেশন করা যাবে। অপরদিকে সীমিত পরিসরে খুলে দেয়া হচ্ছে সেলুন। এছাড়া অপ্রয়োজনীয় কিছু ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানও বিধি-নিষেধ পালন করে তাদের কাজ পুনরায় শুরু করতে পারবে। পার্ক, টেনিস কোর্ট, গলফ কোর্টও পুনরায় চালু করা হচ্ছে। তবে গণপরিসরে সুইমিং পুল এখনই চালু হচ্ছে না। এগুলো বন্ধই থাকছে। যেসব খেলায় একজন থেকে অন্যজনের সংস্পর্শ ঘটে যেমন ফুটবল, বাস্কেটবলের মতো খেলাধুলা এখনও নিষিদ্ধই থাকছে।

করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় রাজধানী ওয়াশিংটনসহ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের সবকিছু বন্ধ রাখা হয়েছিল। তবে এর মধ্যেই বিভিন্নস্থানে কড়াকড়ি কিছুটা শিথিল করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুতে বিশ্বে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির সবগুলো অঙ্গরাজ্যেই করোনার প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে। এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ১৯ লাখ ২৭ হাজার ৬৪৭ জন। মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ১০ হাজার ৩২৫ জনের। সূত্র- নিউইয়র্ক টাইমস/ কালের কন্ঠ

এমজে/