করোনায় ‘নাজেহাল’ ভারতে একদিনে সর্বোচ্চ আক্রান্তের রেকর্ড

করোনায় ‘নাজেহাল’ ভারতে একদিনে সর্বোচ্চ আক্রান্তের রেকর্ড

আক্রান্তের হার বিবেচনায় মহাসংক্রমণের দিকে এগোচ্ছে ভারত। গত সাত দিনে আক্রান্তের দিক দিয়ে দেশটি নিজেই নিজের রেকর্ড ভেঙ্গেছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে এর আগের আক্রান্তের সব রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড গড়েছে। লকডাউন শিথিলের পর থেকে করোনায় দেশটির ‘নাজেহাল’ অবস্থা।

মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত আন্তর্জাতিক জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডওমিটারসে দেয়া তথ্যানুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে ১০ হাজার ২১৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। যা একদিনে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ আক্রান্তের রেকর্ড। এর আগের দিন দেশটিতে একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৯ হাজার ৯৮৩ জন।

ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারস আরও বলছে, এ পর্যন্ত ভারতে মোট করোনা রোগীর সংখ্যা ২ লাখ ৭৬ হাজার ১৪৬ জন। গত একদিনে করোনায় মারা গেছে ২৭৭ জন। এ নিয়ে দেশটিতে মোট মৃত্যু সংখ্যা ৭ হাজার ৭৫০ জন। সুস্থ হয়েছেন ১ লাখ ৩৪ হাজার ৬৬৭ জন। হাসপাতালে ও হোম আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন ১ লাখ ৩৩ হাজার ৭২৯ জন। এদের মধ্যে ২ হাজার ৩০০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

এভাবে আর একদিন চললেই আক্রান্তের সংখ্যায় ভারত বিশ্বের প্রথম চারটি দেশের মধ্যে চলে আসবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন দেশটির ভাইরোলজিস্টরা।

দেশটির সংবাদমাধ্যম ওয়ান ইন্ডিয়া জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে ৫ হাজার ৬৫১ জন করোনাযুদ্ধে জয়ী হয়েছে। যার ফলে ভারতের সুস্থতার হার ৫০ শতাংশ পেরিয়ে গিয়েছে।

ওয়ান ইন্ডিয়া আরও জানায়, ইতিমধ্যে মহারাষ্ট্রে ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা ৯০ হাজার পেরিয়ে গেছে। যা করোনার উৎপত্তিস্থল চীন থেকেও বেশি। মঙ্গলবার মহারাষ্ট্রে নতুন করে আরও ২ হাজার ২৫৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে।

এদিকে তামিলনাড়ুতে ৩৪ হাজার ৯১৪ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। রাজধানী দিল্লিতে এ পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৩১ হাজার ৩০৯ জন। গুজরাতে ২১ হাজার, রাজস্থান ও উত্তরপ্রদেশে ১১ হাজারের বেশি মানুষ এ ভাইরাস আক্রান্ত হয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গেও আক্রান্তের সংখ্যা গত কয়েকদিনে লাফিয়ে বাড়ছে। এখন পর্যন্ত রাজ্যে করোনা রোগীর সংখ্যা ৯ হাজারের কাছাকাছি। মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গে আরও ১০ জন মারা গেছে। সবমিলিয়ে সেখানে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৪১৫ জনে।

প্রসঙ্গত, ভারতে পঞ্চম দফায় লকডাউনের মেয়াদ বাড়ালেও ইতোমধ্যে তা শিথিল করা হয়েছে। এর পর দেশটিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যায় লাগাম টেনে ধরা যাচ্ছে না। এনডিটিভি জানিয়েছে, গত ৭ দিন ধরে দেশটিতে প্রতিনিয়ত ৯ হাজারের বেশি জন আক্রান্ত হয়েছে।

এমজে/