চীন সীমান্তে ২০ মৃত্যু ছাড়াও আহত হয় ৫৮ ভারতীয় সেনা

চীন সীমান্তে ২০ মৃত্যু ছাড়াও আহত হয় ৫৮ ভারতীয় সেনা

সোমবার রাতে চীনা সেনাদের হাতে ২০ ভারতীয় সেনাসদস্যের মৃত্যুর পাশাপাশি আহতও হয়েছিলেন ৫৮ জন ভারতীয় সেনা। এরপর থেকে লাদাখ সীমান্তে এখনও বজায় রয়েছে থমথমে ভাব।

বিভিন্ন ভারতীয় সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছে এ তথ্য। ভারতীয় সেনা সূত্র উদ্ধৃত করে ওই সংবাদমাধ্যমগুলোতে জানানো হয়েছে, আহত ৫৮ ভারতীয় সেনাকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পাশাপাশি সুখবরও জানিয়েছে ভারতীয় সেনা সূত্র। সুখবরটি হলো, তাঁরা প্রত্যেকেই এখন ঝুঁকিহীন। সুস্থ হয়ে দ্রুত কাজে ফেরার অপেক্ষা করছেন তাঁরা।

চীনের সেনাদের হামলায় আহতদের মধ্যে ১৮ জনের চিকিৎসা চলছে লেহ-এর একটি হাসপাতালে। ১৫ দিনের মধ্যেই তাঁরা কাজে যোগ দিতে পারেন। বাকিরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এক সপ্তাহের মধ্যেই তাঁরা কাজে যোগ দেওয়ার মতো সুস্থ হয়ে উঠবেন।

সেদিন সংঘর্ষের সময় ভারতীয় কর্নেল সন্তোষ বাবুর নেতৃত্বে যে ২০ জনের দল সকলের আগে ছিল, তাঁদেরই মৃত্যু হয়েছে চীনা সেনাদের হামলায়। লোহার রড, কাঁটা লাগানো রড দিয়ে ভারতীয় সেনাদের ওপর হামলা চালায় চীনের বাহিনী।

সংঘর্ষে কোনো পক্ষই কোনোধরনের গোলাবারুদ ব্যবহার করেনি। চীন সরকারের তরফ থেকে তাঁদের ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানানো না হলেও ভারতীয় সূত্রের দাবি, তাঁদের প্রত্যাঘাতে প্রায় ৪৫ জন চীনা সেনার মৃত্যু হয়েছে বা গুরুতর আহত হয়েছেন।

সীমান্তের এই বিবাদ মেটানোর জন্য দিনভর কূটনৈতিক স্তরে নানা উদ্যোগ চললেও বিবাদ মেটানোর এখনও সুস্পষ্ট কোনও দিশা দেখা যাচ্ছে না। বুধবারের পর বৃহস্পতিবারও বৈঠক হয়েছে দুপক্ষের। কিন্তু দিনের শেষে যদিও সীমান্তে উত্তেজনা সেই রয়েই গিয়েছে।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সীমান্তে দুপক্ষ সেনা বাড়াচ্ছে। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দু’তরফের সক্রিয়তা আরও বাড়ার খবর এসেছে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর ফরওয়ার্ড মুভমেন্ট বাড়ানো হয়েছে। সতর্ক করা হয়েছে চীনের নিশানায় থাকা বিমান ঘাঁটিগুলোকে। সতর্কতা হিসেবে খালি করা হচ্ছে সীমান্ত সংলগ্ন ডেমচক এবং প্যাংগং লেকের আশপাশের গ্রামগুলো। বন্ধ করা হয়েছে টেলিফোন যোগাযোগ।

সম্ভাব্য যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিতে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সদস্যদের ছুটি বাতিল করা হচ্ছে। আধাসামরিক বাহিনীর সদস্যদের আনা হচ্ছে লাদাখে।

তবে প্রস্তুতি নিচ্ছে চীনও। সীমান্তের কাছে চীনের সাঁজোয়া গাড়ির ভিড় বাড়ছে বলেও একাধিক সূত্রের দাবি। তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নতুন করে আর সংঘাত হয়নি। সূত্র : এই সময় ও ভারতীয় মিডিয়া।

এমজে/