ভারতীয় বাহিনীর গুলিতে কাশ্মীরে নিহত ৩

ভারতীয় বাহিনীর গুলিতে কাশ্মীরে নিহত ৩

দুই দিনের ব্যবধানে কাশ্মীরে ভারতীয় সরকারের বাহিনীর গুলিতে ফের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। ভারতীয় পুলিশর বরাত দিয়ে রবিবার বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, গোলযোগপূর্ণ শ্রীনগরে গোলাগুলিতে তিনজন স্বাধীনতাকামী নিহত হয়েছেন।

তাতে গত দুই দিনে ভারতীয়বাহিনীর গুলিতে কাশ্মীরে অন্তত ১১ জন বিচ্ছিন্নতাবাদীর মৃত্যু হলো। গত শুক্রবার এক মুখোমুখি সংঘর্ষে আট বিদ্রোহীর মৃত্যু হয়।

মার্চের শেষ দিকে করোনা ভাইরাসের কারণে দেশজুড়ে লকডাউন আরোপ করলেও কাশ্মীর এলাকায় স্বাধীনতাকামীদের ওপর হামলা বাড়িয়েছে ভারত।

নাম উল্লেখ না করার শর্তে, একজন পুলিশ অফিসার এএফপিকে জানিয়েছেন, শ্রীনগরের পুরোনো শহর জুনিমার এলাকায় রবিবার এক বন্দুক যুদ্ধে তিনজন বিচ্ছিন্নতাবাদী নিহত হয়েছে। এ সময় একটি বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।

সাম্প্রতিক সময়ে শহরটিতে দ্বিতীয়বারের মতো এ ধরনের পাল্টা হামলা চালাল ভারতীয় বাহিনী। আর চলতি বছরে এই ধরনের হামলায় কাশ্মীরে অন্তত ১০০ স্বাধীনতাকামীর মৃত্যু হয়েছে।

জুনিমার শহরে একমাস আগে ভারতীয় বাহিনীর হামলায় মৃত্যু হয় কাশ্মীরের শীর্ষ পর্যায়ের বিচ্ছিন্নতাবাদী এক নেতার ছেলে ও তার সহযোগীরা।

মে মাসে একদিনব্যাপী ওই লড়াইয়ে ১৫টি বাড়ি উড়িয়ে দেয় ভারতীয় সেনা ও পুলিশ বাহিনী। সরকারি বাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে দুই বছরের মধ্যে প্রথম কোনো মুখোমুখি লড়াই ছিল সেটা।

কাশ্মীরের বিদ্রোহী গ্রুপগুলো দশকের পর দশক ধরে এই অঞ্চলের স্বাধীনতা চেয়ে আন্দোলন করে আসছে। এমনকি পাকিস্তানের সঙ্গেও একত্রিত হওয়া নিয়েও সায় আছে অনেকের।

এসব স্বাধীনতাকামী বিদ্রোহীদের প্রতি ব্যাপক সমর্থন রয়েছে কাশ্মীরের জনগণেরও। সেই ১৯৮৯ সাল থেকে ভারতীয় বাহিনীর সঙ্গে লড়াইয়ে প্রাণ গেছে হাজার হাজার কাশ্মীরির। কিন্তু সম্প্রতি এই অঞ্চলের স্বায়ত্তশাসন পর্যন্ত কেড়ে নিয়েছে ভারত সরকার। এরপর থেকে কাশ্মীর অঞ্চলে জোর জুলুম আরও বেড়েছে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এই হিমালয় অঞ্চলে ৫ লাখের বেশি সৈন্য মোতায়েন করে রেখেছে ভারতীয় সরকার।

সাম্প্রতিক কাশ্মীর পরিস্থিতি নিয়ে চির শত্রু পাকিস্তানের সঙ্গেও তিক্ততা চরমে পৌঁছেছে ভারতের।