করোনার পরীক্ষা কমাতে বলেননি ট্রাম্প: ফাউসি

করোনার পরীক্ষা কমাতে বলেননি ট্রাম্প: ফাউসি

যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ অ্যান্টনি এস ফাউসি বলেছেন, কিছু অঙ্গরাজ্যে করোনার সংক্রমণ উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে। গতকাল মঙ্গলবার আইনপ্রণেতাদের উদ্দেশে ফাউসি এ কথা বলেন।

বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে জানানো হয়, অ্যান্টনি ফাউসিসহ স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের নিয়ে গঠিত চার সদস্যের একটি প্যানেল বলেছে, নতুন মহামারি রোধে সামনের কয়েক দিন গুরুত্বপূর্ণ হবে। যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে সংক্রমণ দ্রুত বাড়ছে। প্যানেলের চার শীর্ষ বিশেষজ্ঞ বলেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প করোনার পরীক্ষা কমিয়ে দিতে কখনোই বলেননি।

করোনা মহামারির মধ্যেই নির্বাচনী সমাবেশ পুনরায় শুরু করলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। লকডাউন-পরবর্তী প্রথম নির্বাচনী ওই জনসভা গত শনিবার ওকলাহোমা অঙ্গরাজ্যের টালসা শহরে অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন,‘যত বেশি টেস্ট করা হতে থাকবে, তত বাড়বে করোনার সংখ্যা। এ কারণে আমি আমার সমর্থকদের বলেছি করোনা পরীক্ষা কমিয়ে দিতে।’

ট্রাম্পের এই মন্তব্যে ব্যাপক সমালোচনা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে এবার এই কথা বললেন ফাউসি। তিনি বলেন, ‘আমার জানামতে, আমাদের কাউকে কখনো করোনার পরীক্ষা কমিয়ে দিতে বলা হয়নি। বরং আমরা আরও বেশি বেশি নমুনা পরীক্ষা করছি।’

এই কমিটির অপর তিন কর্মকর্তা রোগনিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিডিসি), খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ) এবং স্বাস্থ্য ও মানবসেবা বিভাগের প্রতিনিধিত্ব করছেন। তাঁরাও একই কথা বলেন। তাঁরা জানান, তাঁদের কখনো পরীক্ষা কমিয়ে দিতে বলা হয়নি। স্বাস্থ্য বিভাগের সহকারী সচিব ব্রেট গিরোয়ার, যিনি মার্কিন ডায়াগনস্টিক সক্ষমতা পর্যবেক্ষণ করেছেন, আইনপ্রণেতাদের উদ্দেশে বলেন, তিনি আশা করেন শিগগিরই প্রতি মাসে চার কোটি থেকে পাঁচ কোটি নমুনা পরীক্ষা করতে সক্ষম হবেন তাঁরা।

হোয়াইট হাউস বলছে, ভাইরাসটির পরীক্ষার বিষয়ে প্রসিডেন্টের মন্তব্যটি ‘রসিকতা’ ছিল। অবশ্য গতকাল মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি মজা করি না।’

যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ২৩ লাখ মানুষ করোনায় আক্রান্ত। এখন পর্যন্ত ১ লাখ ২০ হাজার মানুষ মারা গেছে, যা অন্য যেকোনো দেশের তুলনায় অনেক বেশি। ট্রাম্প অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যের ফরেক্সে একটি প্রচার অনুষ্ঠানে বলেন, করোনা ‘প্লেগ’ চলে যাচ্ছে। ট্রাম্প আবার ভাইরাসটিকে ‘কুং ফ্লু’ বলে উল্লেখ করেন। পরে হোয়াইট হাউস জানায়, বর্ণবাদী শব্দ হিসাবে এটি ব্যবহার করেননি তিনি।

এমজে/