চীনে বন্ধ ভারতীয় মিডিয়ার ওয়েবাসইট, পাল্টা অ্যাপ নিষিদ্ধের ঘোষণা ভারতের

চীনে বন্ধ ভারতীয় মিডিয়ার ওয়েবাসইট, পাল্টা অ্যাপ নিষিদ্ধের ঘোষণা ভারতের

ভারত চীনের ৫৯টি অ্যাপ নিষিদ্ধ ঘোষণার পর পাল্টা পদক্ষেপ নিয়েছে বেইজিংও। জানা গেছে, ইতিমধ্যেই সমস্ত ভারতীয় নিউজ চ্যানেল এবং মিডিয়া ওয়েবসাইটগুলো নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে চীন। তবে ভিপিএন’র মাধ্যমেও ভারতীয় চ্যানেলগুলোর লাইভ টিভি দেখা সম্ভব হতো। কিন্তু গত দু’দিন ধরে ভিপিএন-ও ব্লক করে রেখেছে চীন। সরকারি নির্দেশেই যে এই পদক্ষেপ করা হয়েছে তা স্পষ্ট।

বেইজিংয়ের ভারতীয় দূতাবাসের একটি সূত্র অনুযায়ী, বর্তমানে শুধুমাত্র আইপি টিভি’র মাধ্যমে ভারতীয় টিভি চ্যানেলগুলো দেখা যাচ্ছে। নিষিদ্ধ কোনও ওয়েবসাইট ভিপিএন’র মাধ্যমে দেখা যায়। কিন্তু জানা গেছে, চীন ভিপিএন যাতে কাজ না করে তার জন্য অ্যাডভান্সড ফায়ারবল তৈরি করেছে চীন। এর ফলে শুধুমাত্র ভারতীয় ওয়েবসাইটই নয়, বিবিসি এবং সিএনএন’র মতো আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবরও ঝাড়াই বাছাই করে সম্প্রচারিত করছে চীন। যেমন হংকং-এ চীন বিরোধী বিক্ষোভ সংক্রান্ত কোনও খবর এই সংবাদমাধ্যমগুলোতে দেখানো হলেই ততক্ষণাৎ তা ব্ল্যাক আউট হয়ে যায়৷ চীনবিরোধী খবর দেখানো বন্ধ হওয়ার পরই ফের সংবাদমাধ্যমগুলো দেখা যায়।

লাদাখ সীমান্তে ভারতীয় এবং চীনের সেনাদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর থেকেই দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছিল। এরই মধ্যে সোমবার কেন্দ্রীয় সরকার ভারতীয়দের ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষা এবং দেশের নিরাপত্তার যুক্তি দিয়ে ৫৯টি চীনা অ্যাপ নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। ভারত সরকার যুক্তি দেয়, এই চীনা অ্যাপগুলোর সার্ভার ভারতের বাইরে রয়েছে৷ যার মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের তথ্য চুরি করা হচ্ছে।

চীন সরকার এ বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া না দিলেও সে দেশের সংবাদমাধ্যমগুলোর মতে, আমেরিকাকে নকল করে ভারত সরকার এমন পদক্ষেপ করেছে।

অন্যদিকে চীনের সরকারি সরকারি সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমস-এর দাবি অনুযায়ী, ভারত সরকারের এই পদক্ষেপ আদতে ভারতীয় অর্থনীতিরই ক্ষতি করবে৷ কারণ ভবিষ্যতে তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে আর কোনও স্টার্টআপ সংস্থায় চীনা বিনিয়োগ আসবে না।