হংকংয়ে গণতন্ত্রপন্থীদের তুমুল বিক্ষোভ, গ্রেফতার ৭০

হংকংয়ে গণতন্ত্রপন্থীদের তুমুল বিক্ষোভ, গ্রেফতার ৭০

ব্রিটেন থেকে চীনের হাতে পড়ার ২৩ তম বর্ষপূতিতে বুধবার হংকংয়ে তুমুল বিক্ষোভ করেছে স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলটির গণতন্ত্রপন্থীরা। বিক্ষোভকালে অন্তত ৭০ জনকে গ্রেফতার করেছে চীনা আইনশঙ্খলা বাহিনী। এই গ্রেফতারের মধ্য দিয়েই এদিন হংকংয়ে নতুন নিরাপত্তা আইন কার্যকর করলো বেইজিং। আগের দিন বিতর্কিত ওই আইনটি পাস করে চীন সরকার। খবর বিবিসি ও সিএনএনের।

হংকংয়ে বেইজিং আরোপিত নতুন জাতীয় নিরাপত্তা আইনে বিচ্ছিন্নতাবাদ, কেন্দ্রীয় সরকার পতন, সন্ত্রাসবাদ ও জাতীয় নিরাপত্তা বিপন্ন করতে বিদেশি বাহিনীর সঙ্গে আঁতাতমূলক যেকোনো কাজ শাস্তিমূলক অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। এ অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।

হংকংয়ের বিশেষ স্বায়ত্তশাসন ও স্বাধীনতার জন্য হুমকি হিসেবে আখ্যায়িত করে এ আইনের বিরুদ্ধে এবং ব্রিটিশ শাসনের অবসানের ২৩ বছর পূর্তিতে বুধবার রাজপথে নেমে আসে গণতন্ত্রপন্থীরা। শত শত তরুণ-তরুণী স্বাধীনতার দাবি লেখা ব্যানার নিয়ে এ বিক্ষোভে অংশ নেয়। তারা হংকংয়ের স্বাধীনতার পক্ষে স্লোগানও দেয়। সামনের সারিতে একজনকে দেখা যায় স্বাধীন হংকংয়ের পতাকা বহন করতে। এ সময় দাঙ্গা পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করে ও মরিচগুড়া ছড়িয়ে দেয়, জলকামান চালায়। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ নারীসহ অন্তত ৭০ জনকে আটক করেছে।

পুলিশ জানিয়েছে, বেআইনিভাবে জমায়েত, নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘন, পুলিশকে তাদের কার্যক্রম পরিচালনায় বাধা দেওয়ায় বুধবার ৭০ জনকে আটক করা হয়েছে। তবে এরমধ্যে নতুন নিরাপত্তা আইনের আওতায় অন্তত দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা কেন্দ্রীয় সরকারবিরোধী স্লোগান দিয়েছে এবং বিচ্ছিন্নতাবাদী পতাকা বহন করেছে।

১৯৯৭ সালের ১ জুলাই হংকংকে চীনের হাতে ছেড়ে দিয়ে যায় ব্রিটেন। ওই সময় হংকংয়ে স্বাধীন বিচার বিভাগসহ বিশেষ স্বায়ত্তশাসন দেওয়া হয়। শর্ত ছিল, অন্তত ৫০ বছর হংকংয়ের বিশেষ স্বায়ত্তশাসনে হস্তক্ষেপ করবে না চীন। তবে তা বরাবরই লঙ্ঘন করেছে দেশটি। সর্বশেষ অঞ্চলটিতে নিজেদের ক্ষমতা আরও বাড়াতে বিতর্কিত নিরাপত্তা আইন জারি করলো চীন।