ফ্লোরিডায় ‘মস্তিষ্ক খেকো অ্যামিবা’য় আক্রান্ত ১, সতর্কতা জারি

ফ্লোরিডায় ‘মস্তিষ্ক খেকো অ্যামিবা’য় আক্রান্ত ১, সতর্কতা জারি

করোনা মহামারি চলার মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যে বিরল মস্তিষ্ক খেকো অ্যামিবায় আক্রান্ত এক ব্যক্তিকে শনাক্ত করা হয়েছে। ফ্লোরিডার স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, হিলসবোরো কাউন্টির এক অধিবাসী নায়েগ্লেরিয়া ফাওলেরি নামের ওই ক্ষতিকর অ্যামিবায় আক্রান্ত হয়েছেন। এরইমধ্যে ওই এলাকায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সাধারণত যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্যগুলোতে এ অ্যামিবায় আক্রান্ত হতে দেখা গেলেও ফ্লোরিডার ক্ষেত্রে তা বিরল। সেখানে ১৯৬২ সাল থেকে এ পর্যন্ত এমন ৩৭টি ঘটনা দেখা গেছে।

১৯৬০ সালে অস্ট্রেলিয়ার একটি হ্রদের পানিতে প্রথম এই মস্তিষ্ক-খেকো অ্যামিবাদের সন্ধান মিলেছিল। দ্রুত কোষ বিভাজন করে অ্যামিবারা। সে জন্য বট ওয়াটার লেক বা উষ্ণ প্রস্রবণগুলিতে এদের দেখা মেলে অনেক বেশি। শিল্পাঞ্চলের কাছাকাছি এলাকায়, দূষিত পনিতেও দেখা মেলে এদের। দীর্ঘদিন ধরে পরিষ্কার না করা সুইমিং পুল বা ক্লোরিনেটেড নয় এমন বদ্ধ পানিতে দ্রুত ছড়ায় অ্যামিবারা। এককোষী হলেও এদের প্রভাব মারাত্মক। মানুষের স্নায়ুকোষকে নিমিষে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে এই অ্যামিবারা।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, কোনও ভাবে পানির মাধ্যমে এই অ্যামিরা গিলে ফেললে ততটা ক্ষতি হয়না। তবে কোনও ভাবে নাক দিয়ে যদি সে শরীরে এন্ট্রি পায় তাহলেই এরা ভয়ঙ্কর আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে। জ্বর, মাথাব্যথা, বমি, পেশির খিঁচুনি দিয়ে উপসর্গ শুরু হয়। দ্রুত অ্যান্টি-ফাঙ্গাল ড্রাগ না দিলে মস্তিষ্ককে ক্ষতিগ্রস্ত করে এ অ্যামিবা। আক্রান্তদের বেশিরভাগই এক সপ্তাহের মধ্যে মারা যায়। উপসর্গ দেখা গেলে দ্রুত চিকিঃসকের শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

এমজে/