যুক্তরাষ্ট্রে বিদেশি শিক্ষার্থীদের দেশত্যাগের নির্দেশনার বিরুদ্ধে হার্ভার্ড-এমআইটির মামলা

যুক্তরাষ্ট্রে বিদেশি শিক্ষার্থীদের দেশত্যাগের নির্দেশনার বিরুদ্ধে হার্ভার্ড-এমআইটির মামলা

বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস-পরীক্ষা পুরোপুরি অনলাইনে হলে বিদেশি শিক্ষার্থীদের যুক্তরাষ্ট্র ছাড়তে হবে, ট্রাম্প প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি)।

বার্তা সংস্থা এপি জানায়, ট্রাম্প প্রশাসনের ফেডারেল ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ জারিকৃত নির্দেশনা বাতিল চেয়ে আজ বুধবার বোস্টনের ফেডারেল আদালতে মামলা করেছে এই দুই শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়।

বিশ্ববিদ্যালয় দুটি দাবি করেছে, আইসিইর নির্দেশনায় প্রশাসনিক কার্যবিধি লঙ্ঘন করা হয়েছে। আইসিই কর্মকর্তারা ওই নির্দেশনার যৌক্তিকতা দেখাতে পারেননি এবং এর যথার্থতাও উপস্থাপন করতে ব্যর্থ হয়েছেন। এ ছাড়া, ওই সিদ্ধান্ত নিয়ে জনগণের সঙ্গে কোনও আলোচনা না করেই নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শরৎকালীন সেমিস্টার কার্যক্রম পুরোপুরি অনলাইনে চালু করা হলে, শিক্ষার্থী ভিসায় অবস্থানরতদের অবশ্যই যুক্তরাষ্ট্র ছাড়তে হবে অথবা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে হবে।

অনলাইনভিত্তিক ক্লাস-পরীক্ষা চলছে এমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তিচ্ছু কোনো নতুন শিক্ষার্থীকে ভিসা দেওয়া হবে না। যেসব বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইনের পাশাপাশি সশরীরে ক্যাম্পাসে উপস্থিত হয়ে ক্লাস করার মতো ‘মিশ্র পদ্ধতি’তে যাবে, তাদের অনলাইন ক্লাস নিষিদ্ধ করা হবে।

সোমবার, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় শরৎকালীন সেমিস্টারের সব ক্লাস অনলাইনে হওয়ার ঘোষণা দেওয়ার পরপরই আইসিই ওই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে।

নির্দেশিকাটির কারণে ৫ হাজার বিদেশি শিক্ষার্থীকে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়তে হতে পারে বলে জানিয়েছে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়।

হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক প্রধান লরেন্স ব্যাকো বলেন, ‘বিনা নোটিশে নির্দেশনাটি এসেছে। এটা কেবল “নিষ্ঠুরতা” নয়, “অদূরদর্শিতা”ও।’

আজ বুধবার তিনি এক বিবৃতিতে বলেন, এটাই প্রতীয়মান হয় যে, শিক্ষার্থী, প্রশিক্ষক ও অন্যদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিয়ে কোনো বিবেচনা ছাড়াই ওই নির্দেশনাটি উদ্দেশ্যমূলকভাবে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ক্যাম্পাস চালু করে শরৎকালীন সেমিস্টারের ক্লাস নেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করছে।’

এমজে/