উইঘুর মুসলিম নির্যাতন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার পাল্টা জবাব দিয়েছে চীন। পাল্টা নিষেধাজ্ঞায় যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বেইজিং। তাদের মধ্যে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের দুই সিনেটর।
এর আগে চীনের শিনজিয়াংয়ে সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলিম নিপীড়নের অভিযোগে ৪ চীনা কর্মকর্তার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র।
সোমবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনিং নিষেধাজ্ঞার তালিকা প্রকাশ করেছেন। নিষেধাজ্ঞায় পড়া যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা হচ্ছেন, সিনেটর ট্রেড ক্রুজ, সিনেটর মার্কো রুবিও, প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য ক্রিস স্মিথ এবং আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ক অ্যাম্বাসেডর এট লার্জ স্যাম ব্রাউনব্যাক।
এছাড়া, চীন বিষয়ক যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসনাল-এক্সেকিউটিভ কমিশনের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
এ কমিশন চীনে মানবাধিকার ও আইনের শাসন সমুন্নত রাখার বিষয়টি দেখভাল করে এবং এ সংক্রান্ত বার্ষিক প্রতিবেদন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পসহ কংগ্রেসেকে দিয়ে থাকে।
চীন শিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর মুসলিমসহ অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানবাধিকার লংঘন করছে অভিযোগ করে চীনা কর্মকর্তাদের ওপর সদ্যই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
চীনের জন্য শাস্তিমূলক এ পদক্ষেপে ভূমিকা রেখেছিলেন সিনেটর রুবিও এবং ক্রুজ দুইজনই।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য ক্রিস স্মিথও শিনজিয়াং ইস্যু থেকে শুরু করে হংকং এবং করোনাভাইরাসসহ সব বিষয়েই চীনের সমালোচনায় সরব। এ তিন যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের রিপাবলিকান পার্টির সদস্য।
সোমবার দৈনিক এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনিং বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকাণ্ড চীনের অভ্যন্তরীন বিষয়ে মারাত্মক হস্তক্ষেপ। এতে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের মূলনীতি লঙ্ঘিত হওয়া ছাড়াও চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।’