নাগরিকত্ব সংশোধন আইন নিয়ে আসামে আবার বিক্ষোভ

নাগরিকত্ব সংশোধন আইন নিয়ে আসামে আবার বিক্ষোভ

পাঁচ মাসের ফারাক। এরপরই আবার ভারতের আসাম রাজ্যের ধিব্রুগড়ে শুরু হয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের (সিএএ) বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বিক্ষোভ। আবারও অল আসাম স্টুডেন্টস ইউনিয়নের (আসু) কয়েক শত নেতাকর্মী রাস্তায় বিক্ষোভ করেছেন।

এ খবর দিয়ে অনলাইন টাইমস অব ইন্ডিয়া বলছে, মার্চের শুরুতে রাজ্যজুড়ে স্থগিত করা হয় বিক্ষোভ। এর কারণ, করোনা ভাইরাস। এখন আবার নতুন করে শুরু হয়েছে সেই বিক্ষোভ। আসুর সদস্যরা চৌকিডিঙ্গি থেকে র‌্যালি শুরু করেন এবং তা শহরের বড় বড় সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এরপর তারা অগ্রসর হয় ধিব্রুগড়ে মানকোটা সড়কের পাশে লক্ষ্মীনগর এলাকায় মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়ালের বাসভবনের দিকে।

কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি থেকে সামান্য দূরে সব মোটরসাইকেল আরোহীকে থামিয়ে দেয়া হয়। এ সময় নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের বিরুদ্ধে স্লোগান দেয়া শুরু করেন আসুর সদস্যরা। ঘটনার আকস্মিকতায় বিহ্বল হয়ে পড়েন নিরাপত্তা রক্ষাকারীরা। তারা দ্রুত মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির চারপাশে ‘প্রোটেকটিভ রিং’ বা সুরক্ষা বলয় গড়ে তোলেন। আসুর সদস্যরা স্লোগান দিতে থাকেন ‘আমি নামানু’ (অর্থাৎ আমরা সিএএ মানব না), ‘সর্বানন্দ সনোয়াল মুর্দাবাদ’ ‘নরেন্দ্র মোদি মুর্দাবাদ’ ‘বিজেপি গো ব্যাক’ এবং ‘জয় আই আসাম’। প্রায় ২০ মিনিট এভাবে স্লোগান দিতে থাকেন তারা। এরপর বিক্ষোভকারীরা টিংখোংয়ের দিকে ফিরে যান।

আসু’র ধিব্রুগড় জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক শঙ্কর জ্যোতি বড়ুয়া বলেছেন, নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের বিরুদ্ধে আমাদের বিক্ষোভ আবার শুরু হয়েছে। করোনা ভাইরাস মহামারির কারণে আমরা বিক্ষোভ স্থগিত রেখেছিলাম মার্চের শুরু থেকে। এখন পূর্ণ শক্তি নিয়ে আমরা বিক্ষোভ করবো। যেমনটা আমরা আগেও বলেছি, ১৯৭১ সালের পরে আসামে প্রবেশ করা একজন বাংলাদেশি প্রবেশের দায়ও আসাম নেবে না। তাতে তিনি হিন্দু হোন বা মুসলিম হোন।

সম্প্রতি রিপোর্ট প্রকাশিত হয় যে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সিএএ আইন তৈরিতে আর তিনমাস যুক্ত করার আহ্বান জানিয়েছে। এ রিপোর্টের প্রেক্ষিতে সিএএ বিরোধী ক্ষোভ আবার শুরু হয়েছে।