করোনার ভ্যাকসিন উৎপাদন শুরু করল রাশিয়া

করোনার ভ্যাকসিন উৎপাদন শুরু করল রাশিয়া

রাশিয়ায় করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের আনুষ্ঠানিক উৎপাদন শুরু করেছে বলে জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। রাশিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী মিখাইল মুরাসকো জানান, ২০২১ সালের জানুয়ারিতে এই ভ্যাকসিনটি সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছবে বলেও আশা করা হচ্ছে।

শনিবার এক প্রতিবেদনে এমন খবর প্রকাশ করেছে রাশিয়ার সংবাদমাধ্যম আরটি। সোভিয়েত রাশিয়ার তৈরি বিশ্বের প্রথম স্যাটেলাইটের নামের সঙ্গে মিল রেখে এই ভ্যাকসিনের নামকরণ করা হয়েছে স্পুটনিক-৫।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মস্কোর গামালিয়া ইনস্টিটিউটের তৈরি এই ভ্যাকসিনের দুটি উপাদান রয়েছে। করোনাভাইরাস প্রতিরোধক প্রক্রিয়া সচল করতে এই দুটি উপাদানের ইনজেকশন তিন সপ্তাহ অন্তর প্রয়োগ করতে হবে।

মস্কো জানিয়েছে, ইতিমধ্যে ২০টি দেশ থেকে ১০০ কোটি ডোজ ভ্যাকসিনের অর্ডার পেয়েছে রাশিয়া।

এর আগে, গত মঙ্গলবার বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনের অনুমোদন দেয় রাশিয়া। তবে কিছু পশ্চিমা বিশেষজ্ঞ আশঙ্কা করছেন তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে ভ্যাকসিনের নিরাপত্তা বজায় রাখতে হয়তো সক্ষম হয়নি রাশিয়া। মানবদেহে এর প্রভাব পর্যালোচনা না করেই অনুমোদন দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

জার্মান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেন স্পাহনের দাবি, সঠিকভাবে টেস্ট করা হয়নি এই ভ্যাকসিন। এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলোকেও যাচাই করা হয়নি। অনেকের মৃত্যুও হতে পারে এ কারণে।

একই মতামত দিয়েছেন ফ্রান্সের গবেষক ইসাবেল ইমবার্ট। তিনি বলেন, এই গবেষণার মানবদেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগের ফলাফল এখন পর্যন্ত আমরা জানি না। এই ভ্যাকসিন কতটুকু নিরাপদ তা নিয়েও প্রশ্ন থেকে যায়।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট কার্যালয় হোয়াইট হাউসের করোনা টাস্কফোর্সের সদস্য এন্থোনি ফাউচি তো এই গবেষণার তথ্য নিয়ে সন্দেহই প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, আমি আশা করছি রাশিয়া সফলভাবেই করোনাভাইরাসের একটি ভ্যাকসিন বানিয়েছে। যা নিরাপদ ও কার্যকর। কিন্তু আমার এ বিষয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে।

তবে রাশিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী মিখাইল মুরাসকো বলেন, অন্যদের এসব দাবি ভিত্তিহীন। আমাদের ভ্যাকসিন গবেষণা সফল এবং তা মানবদেহে নিরাপদ।

তিনি জানান, ভ্যাকসিনের তথ্য শিগগিরই প্রকাশিত হবে এবং আশা করা যায় যে উদ্বেগের কিছুটা উপশম হবে।