লন্ডনে বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে হাইকমিশনের উদাসীনতা, কমিউনিটিতে ক্ষোভ

লন্ডনে বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে হাইকমিশনের উদাসীনতা, কমিউনিটিতে ক্ষোভ

লন্ডন, ১৫ মার্চ (জাস্ট নিউজ) : গত ১২ মার্চ কমনওয়েলথ সার্ভিস ডে উপলক্ষে লন্ডনের ওয়েস্টমিনিস্টার অ্যাবিতে আয়োজিত এক রাজকীয় অনুষ্ঠানে কমনয়েলথ প্রধান হিসেবে ভাষণ দেন ব্রিটেনের রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ। অনুষ্ঠানে কমনওয়েলথ দেশগুলোর জাতীয় পতাকা নিজ নিজ দেশের প্রতিনিধিরা বহন করলেও বাংলাদেশের পতাকা বহন করতে দেখা যায় একজন ভিনদেশি নারীকে।

এসময় উপস্থিত বাংলাদেশীদের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। তারা আফ্রিকান বংশদ্ভুত ওই নারীকে বাংলাদেশের পতাকা বহনের কারন জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে পতাকা বহনের জন্য বাংলাদেশ হাইকমিশন মনোনীত ব্যাক্তি উপস্থিত না থাকায় বাধ্য হয়েই ওই নারী বাংলাদেশের পতাকা বহন করছিলেন।

এরপর সেখানে দর্শক হিসেবে উপস্থিত বাংলাদেশীরা পতাকা বহন করতে আগ্রহ প্রকাশ করলে তাদের জানানো হয় এরজন্য ১৮ থেকে ৩০ বছর বয়সের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। পরবর্তীতে তাৎক্ষণিক ভাবে ওয়েস্টমিনিস্টার বাংলাদেশী এ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থী তাকরিম আলীকে তার পিতার অনুমতি নিয়ে পতাকা বহনের জন্য মনোনীত করা হয়।

পরবর্তীতে উপস্থিত বাংলাদেশীরা লন্ডনে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার নাজমুল কাওনাইনের কাছে গেলে প্রথমে তিনি হাসি মুখে এগিয়ে আসেন এবং ছবি তোলার জন্য পোজ দেন কিন্তু পতাকাবাহীর প্রসঙ্গ আসতেই কোন সদুত্তর না দিয়ে কৌশলে স্থান ত্যাগ করেন।

উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত একজন বাংলাদেশী রাফুল মিয়া ক্ষোভের সাথে বলেন, আমাদের রক্ত পানি করা রেমিটেন্স আর জনগণের ট্যাক্সের টাকায় সর্বোচ্চ সুযোগ সুবিধা দিয়ে হাইকমিশনের কর্মকর্তাদের এখানে রাখা হয়েছে কিন্তু তারা আমাদের জাতীয় পতাকাকে বহন করবে এমন একটা লোক নির্বাচন করতে পারেনা। এমন অকর্মণ্য ব্যাক্তিদের কোন দরকার নেই।

ওয়েস্টমিনিস্টার বাংলাদেশী এসসিয়েশনের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ জয়নাল বলেন, এমন একটা গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে হাইকমিশনের এমন গাফিলতি মেনে নেয়া যায়না।

এই বিষয়টি নিয়ে ব্রিটেনে বসবাসরত বাংলাদেশীদের মধ্যে প্রচণ্ড ক্ষোভ বিরাজ করছে।

(জাস্ট নিউজ/এমআই/১৫৪০ঘ.)