ট্রাম্পকে ছেড়ে যাচ্ছেন সবাই

ট্রাম্পকে ছেড়ে যাচ্ছেন সবাই

নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে আছে ওয়াশিংটন। পরিস্থিতি এখন শান্ত। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও ন্যাশনাল গার্ড সদস্যরা ঘিরে রেখেছে মার্কিন রাজধানী। সাইরেন বাজিয়ে ছুটে বেড়াচ্ছে পুলিশের গাড়ি। তবে কারফিউ চলছে ওয়াশিংটন ডিসিতে।

মার্কিন আইনসভা ক্যাপিটল হিল ভবনে সন্ত্রাসী হমলার ঘটনায় একজন পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা ৫ জনে দাঁড়িয়েছে। বেড়ে চলেছে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ইমপিচ করার দাবি। ডেমোক্রাটদের সঙ্গে একজন রিপাবলিকান আইন প্রণেতাও ট্রাম্পকে ইমপিচ করার পক্ষে।

এখন সুর নরম করে বলছেন ক্ষমতা হস্তান্তর শান্তিপূর্ণভাবেই হবে। হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি ও সিনেটের মাইনোরিটি লিডার চাক শুমার ট্রাম্পে বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট প্রক্রিয়া শুরু করতে ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। যদিও আর মাত্র ১৩ দিন বাকি তার প্রেসিডেন্সির মেয়াদ শেষ হতে। পুলিশের এই নিহত সদস্য ক্যাপিটল পুলিশে কর্মরত ছিলেন বলে জানা গেছে। তবে তার নাম পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। সংবাদ মাধ্যম সিএনএন এই খবর দিয়েছে। সব মিলিয়ে গ্রেপ্তার ৮০ জন।

এদিকে, ট্রাম্প প্রশাসনের পরিবহন মন্ত্রী ইলাইন চাও পদত্যাগ করেছেন। তিনি সিনেট মেজোরিটি নেতা মিচ ম্যাককনেলের স্ত্রী। চাও প্রথম ক্যাবিনেট মেম্বার যিনি প্রেসিডেন্টের সন্ত্রাসী কার্যকলাপের প্রতিবাদে ট্রাম্পকে ছেড়ে গেলেন।

হোয়াইট হাউসের ষ্টাফদের মধ্যে ডেপুটি ন্যাশনাল সিকিউরিটি উপদেষ্টা ম্যাথুউ পুটিংগার, ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি সারা ম্যথুউ, নর্থান আয়ারল্যান্ড বিষয়ক বিশেষ এ্যানভয়, সাবেক হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ও ফাষ্টলেডি মেলানিয়া ট্রাম্পের চীফ অব স্টাফ ষ্টেফানি গ্রিশম ও আ্যনা ক্রিস্টিনা রিকি বুধবার পদত্যাগ করেছেন। আরো কয়েকজন পদত্যাগ করার চিন্তা ভাবনা করছেন। তারা ট্রাম্পকে ক্যাপিটল হিলের ঘটনায় দায়ী করেন। ক্যাপিটল পুলিশের প্রধান ষ্টিভেন সুন্ডও তার পদত্যাগের ঘোষনা দিয়েছেন। এই পদত্যাগ ১৬ই জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি তাকে বলার পর পরই তিনি পদত্যাগ করেন।

সিনেটের মাইনোরেটি লীডার চাক শুমার সিনেট সার্জেন্ট আ্যট আর্মড মাইকেল স্টেঙ্গারকে পদত্যাগ করার কথা বলেছেন। নয়তো তাকে ফায়ার করা হবে। শুমার বলেন, তিনি পদত্যাগ না করলে আমি মেজোরিটি লীডারের দায়িত্ব নিয়েই তাকে ফায়ার করবো।

এদিকে শিক্ষামন্ত্রী বেটসী ডিভোসও বুধবারের ঘটনার প্রতিবাদে পদত্যাগ করেছেন। এনিয়ে দুই জন মন্ত্রী ট্রাম্পের মন্ত্রীসভা থেকে সরে দাঁড়ালেন।

আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। প্রায় ২ হাজার সদস্যের ক্যাপিটল পুলিশের প্রস্তুতি ছিল অনেকটা দায়সারা গোছের। সন্ত্রাসীদের তাণ্ডব চলাকালীন ন্যাশনাল গার্ড সদস্যদের দেখা যায়নি ধারে কাছে কোথাও। অথচ ওয়াশিংটন মেয়র ম্যুরিয়েল বাউজার ৩৪০ সদস্যের ন্যাশনাল গার্ড বাহিনী তলব করার কথা বলেছিলেন একদিন আগে। এমনকি ক্যাপিটল পুলিশের সঙ্গে সেলফি তুলতেও দেখা যায় সন্ত্রাসীদের।

এমজে/