‘ক্যাপিটলে দাঙ্গাকারীদের দশ বছরের সাজা হতে পারে’

‘ক্যাপিটলে দাঙ্গাকারীদের দশ বছরের সাজা হতে পারে’

যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসির ক্যাপিটল হিল ভবনে প্রেসিডেন্ট ট্রামপন্থী দাঙ্গারীদের দশ বছর করে সাজা হতে পারে বলে জানিয়েছে ওয়াশিংটন ডিসির সরকারি কৌঁসুলিরা। বুধবার কংগ্রেসে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত জো বাইডেনের আনুষ্ঠানিক প্রত্যয়নকে ঠেকাতে ভবনটি অবরোধ করে নজিরবিহীন সহিংসতা ঘটায় ট্রাম্পের সমর্থকরা। এ ঘটনায় চারজন ট্রাম্প সমর্থক নিহত হয়।

বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসির ভারপ্রাপ্ত অ্যাটর্নি মাইকেল শেরউইন জানান, ট্রাম্পপন্থী দাঙ্গাকারীদের অভিযুক্ত করার সকল আয়োজন সম্পন্ন। রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষার ব্যাপারে ট্রাম্পের নিজের নির্বাহী আদেশের ভিত্তিতেই দশ বছরের সাজার মুখোমুখি হতে পারে তার দাঙ্গাকারী সমর্থকরা।

ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এ পর্যন্ত ৯০ জনের অধিক লোককে গ্রেফতার করা হয়েছে। সন্দেহভাজন আরো ৩৬ জনকে খুঁজছে এফবিআই ও ওয়াশিংটন ডিসির পুলিশ। বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে সন্দেভাজনদের ছবি প্রকাশ করা হয়। সম্মেলনে কর্তৃপক্ষ দাঙ্গাকারীদের খুঁজে বিচারের আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি দেয়।

ব্যাপক এ সহিংসতায় দু’জন নারী সহ মোট চারজন নিহত হয়। এদের মধ্যে মার্কিন বিমানবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা ৩৫ বছর বয়সী নারী আশলি ব্যাবিত বুকে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান।

হাসপাতালে নেয়ার পর বাকী তিনজনের মৃত্যু হয়। তারা হলেন পেনসিলভানিয়ার রিংটাউনের বেনজামিন ফিলিপস (৫০), আলাবামার এথেন্সের কেভিন গ্রেইসন (৫৫) ও জর্জিয়ার কেনেসোর রোজান বয়ল্যান্ড (৩৪)।

ঘটনাস্থলের এক সংবাদ সম্মেলনে শেরউইন বলেন,‘শুধু ভবনে ঢুকে পড়া লোকদেরই নয়, যারা যারা এখানে ভূমিকা রেখেছে আমরা সবাইকেই খুঁজছি।’

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কি অভিযুক্তদের অন্তর্ভূক্ত হবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যারা যারা এ ঘটনার সাথে জড়িত আমরা সবাইকেই খুঁজছি। অপরাধের প্রমাণ পাওয়া গেলে ভূমিকা পালনকারী যেই হোক না কেন তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হবে।

ভারপ্রাপ্ত অ্যাটর্নি জেনারেল জেফরেই রোজেন বলেন, আরো তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করতে ও অন্যান্য অপরাধীদের চিহ্নিত করতে বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সাথে একযোগে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষ।

এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘আমাদের সরকার ও আইনের শাসনের উপর এমন আক্রমণকারীদের আইনের আওতায় এনে তাদের কর্মকাণ্ডের পরিপূর্ণ শাস্তি নিশ্চিত করতে বিচার বিভাগ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

রোজেন বলেন, অশান্তির সময় আমেরিকার স্মৃতিস্তম্ভ, স্মৃতিসৌধ ও মূর্তি রক্ষার জন্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের জারি করা নির্বাহী আদেশের অধীনেই ‘যুক্তরাষ্ট্রীয় সম্পত্তির ক্ষতিসাধনের’ জন্যে সহিংস বিক্ষোভকারীদের ১০ বছর করে সাজা হতে পারে।

জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর পরে দেশব্যাপী বিক্ষোভের মধ্যে এ আদেশটি জারি করা হয়েছিল। এ আদেশের আলোকে, কেউ সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর করলে রাষ্ট্রদ্রোহী হিসেবে চিহ্নিত হবে। এ আদেশে সর্বোচ্চ দশ বছরের শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। সূত্র : ডেইলি মেইল

এমজে/