ক্যাপিটলে হামলার সময়ই ফলাফল উল্টে দেয়ার কথা বলেছিলেন ট্রাম্প

ক্যাপিটলে হামলার সময়ই ফলাফল উল্টে দেয়ার কথা বলেছিলেন ট্রাম্প

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং তার আইনজীবী রুডি জিলিয়ানী দু'জনই ভুলকরে রিপাবলিকান সেনের কাছে ফোন করেছিলেন। মাইক লিকে এই সপ্তাহের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানীতে মারাত্মক দাঙ্গা করার কথা বলেন। সিনেটরের একজন মুখপাত্র সিএনএন-এর কাছে একথার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। একজন জিওপি সিনেটরের উদ্দেশ্যে আহবান করা হয়েছিল যে, হোয়াইট হাউস ইলেক্টোরাল কলেজের ভোট গণনা বিলম্ব করার জন্য চেষ্টা করাতে।

লি'র মুখপাত্র বলেছেন, ট্রাম্প ও তার আইনজীবীর কাছ থেকে আসা আহবান ছিলো আলাবামার নবনির্বাচিত রিপাবলিকান সেন টম টুবারভিলের উদ্দেশ্যে।

ভোটের প্রমাণপত্র দেড়িতে দেওয়ার জন্য টিউভারলিকে বলা হয়েছিলো। যেন এসময়ের মধ্যে ট্রাম্পের সমর্থকরা আইকনিক বিল্ডিংয়ের সামনে অবরোধ করে রাখে।

ট্রাম্প টিউবারভিলকে বিলম্বিত করতে রাজি করার জন্য কাজ করছিলেন। তিনি এবং তাঁর পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সকে এসময় খুব একটা খুঁজেননি। এসময় পেন্স ও তার পরিবার ক্যাপিটল ভবনের বাইরে ভিড়ের মধ্যে ছিরেন। পেন্সের ঘনিষ্ঠ সূত্রে বরাত দিয়ে জানায় সিএনএন।

ট্রাম্প প্রথমে দুপুর ২ টার পর প্রথম ইউটা রিপাবলিকান লি-র ব্যক্তিগত মোবাইলে কল করেছিলেন। ট্রাম্পের সমর্থক জনতা ক্যাপিটাল লঙ্ঘন শুরু করার সাথে সাথে সিনেটরদের নিচে থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল এবং অস্থায়ী হোল্ডিং রুমে ছিলেন।

লি ফোন রিসিভ করলে ট্রাম্প বুঝতে পারেন যে তিনি ভুল নম্বরে কল করেছেন। তখন লি প্রেসিডেন্টের কল লাইনে রেখে সেন টম টুবারভিলকে জানান যে তকে প্রেসিডেন্ট খুঁজছেন। এরপর ট্রাম্প সেন টম টুবারভিলের সাথে কথা বলেন।

টিউবারভিল কমপক্ষে ১০ মিনিট ট্রাম্পের সাথে কথা বলেছিলেন। ট্রাম্প তাকে বোঝাতে চেষ্টা করেছিলেন যে,নির্বাচনে জো বাইডেনের জয়ের প্রমাণপত্রকে আটকাতে ইলেক্টোরাল কলেজের ভোটের বিষয়ে অতিরিক্ত আপত্তি করতে।

বুধবার সিএনএন আরো জানায় যে, হামলার পরে কংগ্রেস সেই রাতে পুনর্গঠন করার পরেও ট্রাম্প সিনেটরদের কাছে রাষ্ট্রপতি হিসাবে বাইডেনের প্রমাণপত্রের বিষয়ে যে প্রতিবাদ জানিয়ে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন।

কয়েক সপ্তাহ ধরেই ডোনাল্ড ট্রাম্প বলে আসছিলেন ৬ই জানুয়ারি হতে যাচ্ছে 'বোঝাপড়ার দিন'। এর সূত্রপাত তিনি যখন তার সমর্থকদের ডাক দেন যে, নভেম্বরের নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান করে, প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা তার হাতে ন্যস্ত রাখতে তারা যেন রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে জমায়েত হয় এবং কংগ্রেস ও ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সকে চ্যালেঞ্জ জানায়।

এরই ধারায় ট্রাম্প সমর্থকরা ক্যাপিটলহিলে হামলা চালায়। হামলায় পুলিশসহ ৪ জন নিহত হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে যা চরম অসম্মানজনক বলে অভিহিত করেছেন গোটা দুনিয়ার মানুষ। কারণ, ক্যাপিটলহিল হলো যক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রের প্রতিমূর্তিস্বরুপ।

এমজে/