পম্পেওসহ ট্রাম্প প্রশাসনের ২৮ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চীনের নিষেধাজ্ঞা

পম্পেওসহ ট্রাম্প প্রশাসনের ২৮ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চীনের নিষেধাজ্ঞা

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে জো বাইডেনের শপথের পরপরই সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের সাথে যুক্ত ২৮ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে চীন। ‘চীনের বিরুদ্ধে কুৎসা ও ঘৃণা’ ছড়ানোর অভিযোগে সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওসহ এই ২৮ কর্মকর্তাকে অভিযুক্ত করে এই আদেশ জারি করা হয়।

বেইজিংয়ের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সকালে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এই আদেশের কথা জানায়।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘তারা এমন কিছু পাগলাটে পদক্ষেপের পরিকল্পনা, সমর্থন ও বাস্তবায়নের সাথে ছিলেন যা চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মারাত্মক হস্তক্ষেপ করেছে, চীনের স্বার্থকে ক্ষুণ্ণ করেছে, চীনের মানুষকে অপমান করেছে এবং চীন-মার্কিন সম্পর্কের গুরুতর ক্ষতি করেছে।’

নিষেধাজ্ঞার এই আদেশ অনুযায়ী, সাবেক উচ্চপদস্থ এই ২৮ মার্কিন কর্মকর্তা মূল চীন ভূখণ্ড, হংকং ও ম্যাকাওয়ে প্রবেশ করতে পারবেন না। পাশাপাশি চীনে তাদের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হবে।

সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও ছাড়াও এই তালিকায় সাবেক বাণিজ্য উপদেষ্টা পিটার নাভারো, সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা রবার্ট ও ব্রায়েন ও তার সহকারী ম্যাট পটেনগার, সাবেক স্বাস্থ্য উপদেষ্টা অ্যালেক্স আজার, জাতিসঙ্ঘে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক দূত কেলি ক্রাফট, হোয়াইট হাউজে ট্রাম্পের সাবেক শীর্ষ সহকারী স্টিভ ব্যানন, সাবেক নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন প্রমুখ উল্লেখযোগ্য।

এ দিকে চীনের এই পদক্ষেপকে ‘নিস্ফল ও রূঢ়’ হিসেবে মন্তব্য করে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের মুখপাত্র এমিলি হর্ন বলেছেন, ‘অভিষেকের দিন এমন নিষেধাজ্ঞা আরোপ বিভক্তি সৃষ্টির প্রয়াস হিসেবে মনে করা হচ্ছে।’

দুই দলের আমেরিকানদের এই পদক্ষেপের সমালোচনার আহ্বান জানান তিনি।

গত মঙ্গলবার ডোনাল্ড ট্রাম্পের দায়িত্বের শেষ দিনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এক বিবৃতিতে চীনের উত্তর-পশ্চিমে জিংজিয়াং অঞ্চলে উইঘুর মুসলিমদের বিরুদ্ধে দেশটিকে গণহত্যা চালানোর জন্য অভিযুক্ত করেন। মাইক পম্পেও’র এই বিবৃতির পর এই আদেশ এলো।

এর এক সপ্তাহ আগে ১১ জানুয়ারি মাইক পম্পেও ঘোষণা করেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানের সাথে যোগাযোগের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবে। পম্পেও’র এই ঘোষণা চীনকে উত্তেজিত করে।
সূত্র : সিএনএন, রয়টার্স

এমজে/