সিরিয়ায় ইরানসমর্থিত যোদ্ধাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের হামলা

সিরিয়ায় ইরানসমর্থিত যোদ্ধাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের হামলা

সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলে ইরানসমর্থিত যোদ্ধাদের স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসসহ বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুর ওপর রকেট হামলার জবাবে বৃহস্পতিবার ওই হামলা চালানো হয় বলে পেন্টাগনের দুই কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স ও আলজাজিরা।

এদিকে এক বিবৃতিতে পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, ‘প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নির্দেশে সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলে ইরানসমর্থিত যোদ্ধাদের স্থাপনায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী।’

তিনি আরো বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসসহ বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তু ও ব্যক্তির ওপর হামলার জবাবে এই হামলা চালানো হয়েছে।’

কিরবি বলেন, হামলায় কাতাইব হিজবুল্লাহ (কেএইচ) এবং কাতাইব সায়িদ আল-সুহাদাসহ (কেএসএস) বেশ কয়েকটি ইরানসমর্থিত মিলিশিয়া গ্রুপের স্থাপনা ধ্বংস হয়ে গেছে।

এদিকে সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস’র বরাত দিয়ে বার্তাসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সর্বশেষ এই হামলায় ১৭ ইরানপন্থী যোদ্ধা নিহত হয়েছে।

গত সপ্তাহের ইরাকে মার্কিন লক্ষ্যবস্তুতে হামলার পর বৃহস্পতিবারের এই হামলা যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ। তবে হামলার পরিধি কম থাকার কারণে আঞ্চলিক উত্তেজনা বৃদ্ধির আশঙ্কা কম বলে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়া বিগত কয়েক বছরে বেশ কয়েকবার এধরনের প্রতিশোধমূলক সামরিক হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

গত ২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন জো বাইডেন। শপথ নেয়ার প্রায় পাঁচ সপ্তাহের মাথায় প্রথম দেশ হিসেবে সিরিয়ায় সামরিক হামলা চালানোর নির্দেশ দিলেন দেশটির ৪৬তম এই প্রেসিডেন্ট।

এর আগে ২০১৯ সালের অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সিরিয়া থেকে এক হাজার সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছিলেন। তবে এর কয়েক মাস পরই তেল কূপগুলোর সুরক্ষায় দেশটিতে সেনা মোতায়েন রাখার কথা ঘোষণা করেন ট্রাম্প। পরে ২০২০ সালে মেয়াদের শেষ প্রান্তে এসে রুশ বাহিনীর সাথে বিবাদের জের ধরে দেশটিতে সামরিক উপস্থিতি আরো জোরদার করে দেশটি।

ট্রাম্প প্রশাসনের বিভিন্ন নীতির সাথে জো বাইডেন দ্বিমত পোষণ করলেও সিরিয়ায় যে ওয়াশিংটনের নীতির খুব বেশি হেরফের হচ্ছে না, সেটা মার্কিন সামরিক বাহিনীর সর্বশেষ এই হামলার পর মোটামুটি স্পষ্ট হয়ে গেছে। সূত্র: আলজাজিরা ও রয়টার্স

এমজে/