সালমানের সঙ্গে বাইডেনের ফোনালাপ, আলোচনায় মানবাধিকার ইস্যু

সালমানের সঙ্গে বাইডেনের ফোনালাপ, আলোচনায় মানবাধিকার ইস্যু

সৌদি আরবের বাদশাহ সালমানের সঙ্গে বৃহস্পতিবার ফোনে কথা বলেছেন যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এই ফোনালাপে সৌদির বাদশাহর কাছে মানবাধিকার ইস্যু তুলেছেন যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্ট। আজ শুক্রবার বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।

সৌদির সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যাকাণ্ড নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের একটি স্পর্শকাতর গোয়েন্দা প্রতিবেদন প্রকাশের আগে বাদশাহ সালমানের সঙ্গে বাইডেনের এই ফোনালাপ হলো। বাদশাহ সালমানকে ফোন করার আগে বাইডেন প্রতিবেদনটি পড়েছেন বলে তিনি নিজেই জানান।

প্রতিবেদনটি অল্প সময়ের মধ্যে প্রকাশ করা হতে পারে। প্রতিবেদনে খাসোগি হত্যায় সৌদির যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি উঠে আসতে পারে।

২০১৮ সালের ২ অক্টোবর তুরস্কের ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে প্রবেশের পর খুন হন সাংবাদিক জামাল খাসোগি। তাঁর লাশ কেটে টুকরা টুকরা করা হয়। পরে তা গায়েব করে দেওয়া হয়।

সাংবাদিক খাসোগি সৌদির যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের কট্টর সমালোচক ছিলেন। সৌদি আরব প্রথমে খাসোগি খুন হওয়ার কথা অস্বীকার করে। পরে তারা স্বীকার করতে বাধ্য হয়। খাসোগিকে হত্যার নির্দেশদাতা হিসেবে মোহাম্মদ বিন সালমানকে সন্দেহ করা হয়। সৌদির যুবরাজ এই হত্যায় তাঁর সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করেন। তবে সৌদির শাসক হিসেবে তিনি এই হত্যার দায় এড়াতে পারেন না বলে স্বীকার করেন।

গত ২০ জানুয়ারি বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন। প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি এই প্রথম সৌদি আরবের বাদশাহ সালমানের সঙ্গে কথা বললেন।

পুরোনো মিত্র সৌদির সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্গঠন করতে চান বাইডেন। সেই লক্ষ্যে তাঁর প্রশাসন ইতিমধ্যে নানা পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে।

জো বাইডেন ও সৌদির বাদশাহ সালমানের মধ্যকার ফোনালাপের পর এ নিয়ে হোয়াইট হাউস বিবৃতিতে দিয়েছে। বিবৃতিতে খাসোগির ব্যাপারে কিছু বলা হয়নি।

হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে বলা হয়, সর্বজনীন মানবাধিকার ও আইনের শাসনের প্রতি যুক্তরাষ্ট্র যে গুরুত্ব দেয়, সে বিষয়টি সৌদির বাদশাহ সালমানের কাছে তুলে ধরেছেন জো বাইডেন।

কিছু অধিকারকর্মীকে সম্প্রতি মুক্তি দিয়েছে সৌদি আরব। সৌদির এই পদক্ষেপকে যুক্তরাষ্ট্র যে ইতিবাচক হিসেবে নিয়েছে, তা জানিয়েছেন বাইডেন।

যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদির মধ্যকার দীর্ঘদিনের অংশীদারত্বের বিষয়টি দুই নেতার আলোচনায় উঠে আসে। একই সঙ্গে আঞ্চলিকসহ বিভিন্ন ইস্যু আলোচিত হয়। ইরানপন্থী গোষ্ঠীগুলো সৌদির জন্য যে হুমকি সৃষ্টি করছে, তা-ও আলোচনায় উঠে আসে।

বাদশাহ সালমানকে বাইডেন স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে যথাসম্ভব শক্তিশালী ও স্বচ্ছ করতে কাজ করবেন।