যুবরাজের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ তদন্তের আবেদন

যুবরাজের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ তদন্তের আবেদন

সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যার ঘটনায় সৌদি যুবরাজ ও দেশটির কার্যত শাসক মোহাম্মদ বিন সালমানের মানবতাবিরোধী অপরাধের তদন্ত করতে জার্মানির আদালতে আবেদন করেছে রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স।

জার্মানির আন্তর্জাতিক বিচার আইনের অধীন ফৌজদারি মামলায় এই তদন্ত চাওয়া হয়েছে। এতে খাশোগিসহ আরও কয়েক ডজন সাংবাদিকের ওপর পরিকল্পিত নির্যাতনের অভিযোগ করা হয়েছে।

ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি এমন খবর দিয়েছে।

২০১৮ সালের ২ অক্টোবর ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে যুবরাজের গুপ্তচরদের হাতে নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হন খাশোগি। তিনি মার্কিন দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্টের কলামিস্ট ছিলেন।

গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা প্রতিবেদনে খাশোগি হত্যায় যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে দায়ী করা হয়েছে। সৌদি কর্তৃপক্ষ এই প্রতিবেদনের নিন্দা জানিয়ে দুর্বৃত্তদের অভিযানে তিনি নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে।

কিন্তু রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স জানিয়েছে, সাংবাদিকদের ওপর হামলা ও তাদের নীরব করিয়ে দিতে রাষ্ট্রীয় নীতির সাক্ষ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করা হয়েছে। সোমবার জার্মানির কার্লশ্রুসে কেন্দ্রীয় বিচার আদালতে এ সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে।

সৌদি আরবে কারাদণ্ড দেওয়া রাইফ বাদউইসহ ৩৪ সাংবাদিকের বিস্তারিত তথ্য প্রতিবেদনে রয়েছে। ইসলাম অবমাননার অভিযোগে ২০১২ সাল থেকে তাকে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে।

এক বিবৃতিতে আরএসএফের মহাসচিব ক্রিস্টোফি ডেলওয়ার বলেন, এ ঘ্টনায় একটি অবস্থান নিতে আমরা জার্মানির কৌঁসুলিদের আহ্বান জানিয়েছি। কেউ-ই আন্তর্জাতিক আইনের ঊর্ধ্বে থাকতে পারেন না—বিশেষ করে যখন মানবাধিকারের প্রশ্নটি সামনে চলে আসে।

কার্লশ্রুসের আদালত এই অভিযোগ গ্রহণের বিষয়ে বার্তা সংস্থা এএফপিকে নিশ্চিত করেছে। কিন্তু এ নিয়ে অতিরিক্ত কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকার জানিয়েছে।

৫৯ বছর বয়সী খাশোগিকে শ্বাসরোধে হত্যা করে তার শরীর কেটে টুকরো টুকরো করে তা রাসায়নিক দিয়ে গলিয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে গুপ্তচরদের ১৫ জনের একটি স্কোয়াড অংশ নেয়।

এই হত্যায় পশ্চিমা বিশ্বে এমবিএস নামে পরিচিত যুবরাজকে সরাসরি দায়ী করে প্রতিবেদন দিয়েছে মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ও জাতিসংঘের একজন বিশেষ দূত।

এমজে/