আস্থা ভোটে জিতে গেলেন ইমরান খান

আস্থা ভোটে জিতে গেলেন ইমরান খান

পাকিস্তানের পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটে বিপর্যয়ের পরিপ্রেক্ষিতে নিম্নকক্ষ ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে আস্থাভোটে জয় লাভ করেছেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। শনিবার স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটে ইসলামাবাদে অবস্থিত ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির অধিবেশনে প্রয়োজনীয় ভোটের চেয়ে বেশি ১৭৮ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন তিনি।

ইমরান খান পাকিস্তানের ইতিহাসে দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী যিনি স্বেচ্ছায় ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির আস্থাভোটে গিয়েছেন। এর আগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ ১৯৯৩ সালে তার পদে পুর্নবহালে সুপ্রিম কোর্টের আদেশের পর স্বেচ্ছায় আস্থাভোটে যান।

এর আগে প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভির আহ্বানে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির সদস্যদের অংশগ্রহণে নির্ধারিত ১২টা ১৫ মিনিটে অধিবেশন শুরু হয়। ১২টা ৪৫ মিনিটে পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশির আস্থাভোটের প্রস্তাব উত্থাপনের মাধ্যমে ভোট শুরু হয়।

১টা ১০ মিনিটে ভোট শেষ হওয়ার পর ফলাফল ঘোষণা করেন স্পিকার আসাদ কায়সার।

ইমরান খানের নেতৃত্বের পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলীয় ১৫৫ সদস্য প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে ভোট দেন।

অপরদিকে মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট (এমকিউএম-পি) দলের সাত সদস্য, বেলুচিস্তান আওয়ামী পার্টির পাঁচ সদস্য, পাকিস্তান মুসলিম লীগ (কিউ) দলের পাঁচ সদস্য, গ্র্যান্ড ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্সের তিন সদস্য, আওয়ামী মুসলিম লীগের এক ও জমহুরি ওয়াতান পার্টির এক সদস্য ইমরান খানের পক্ষে ভোট দেন। নিম্নকক্ষের স্বতন্ত্র সদস্য আসলাম ভুটানিও ইমরানের পক্ষে ভোট দেন।

অপরদিকে বিরোধীদের জোট পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট (পিডিএম) এই অধিবেশন বয়কট করে।

আস্থাভোটে জয়ের পর ভাষণে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান আইন পরিষদের সদস্যদের ধন্যবাদ জানান।

তিনি বলেন, ‘পার্লামেন্ট সদস্যবৃন্দ ও দলকে আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি। গত সন্ধ্যায় আমি যখন আপনাদের দেখেছি, আমি উপলব্ধি করেছি সিনেট নির্বাচনে হাফিজ শেখের পরাজয়ে আপনারা সত্যিই ব্যথিত ছিলেন।’

এর আগে গত বুধবার পাকিস্তানের পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটের ৪৮টি আসনে উপনির্বাচন হয়। নির্বাচনে পিটিআই সংখ্যাগরিষ্ঠ ২৬টি আসনে জয়ী হলেও অর্থমন্ত্রী আবদুল হাফিজ শেখ তার আসনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানির কাছে হেরে যান। অর্থমন্ত্রীর এই পরাজয়কে ইমরান খানের জন্য বিপর্যয় হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছিল।