ফিলিস্তিনে বাড়ছে লাশের মিছিল

ফিলিস্তিনে বাড়ছে লাশের মিছিল

ফিলিস্তিনের গাজায় দখলদার ইসরায়েলিদের বিমান হামলায় আজ আরও ১০ জন মারা গেছে। যাদের ৮ জনই শিশু। এ নিয়ে ৬ দিনে ইসরায়েলি তাণ্ডবে ৪০ শিশুসহ প্রাণ গেছে অন্তত ১৪০ ফিলিস্তিনির। ইসরায়েলি বর্বরতায় নিঃশর্ত সহায়তা দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র, এমন অভিযোগ তুলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসওম্যান রাশিদা তালিব।

ভালো-মন্দ কিছুই বোঝার বয়স হয়নি ৬ মাসের ওমর মোহাম্মদ হাদিদির। গাজায় ইসরায়েলি তাণ্ডবে মাসহ ৫ ভাই-বোন প্রাণ হারালেও ভাগ্যগুনে বেচে যায় অবুঝ শিশুটি।

বিশ্ব সম্প্রদায় কী করছে? এই নিষ্পাপ শিশুর কী অপরাধ। ও কী ইহুদিদের রকেট ছুড়েছে? এরা নিরপরাধ এবং নিষ্পাপ। ওমরের মতো এমন গল্প ফিলিস্তিনের ঘরে ঘরে। টানা ৬ দিন ধরেই ইসরায়েলি বিমান থেকে ফেলা বোমায় প্রকম্পিত গাজার বিভিন্ন এলাকা।

বিমান হামলায় ধসে পড়ে গাজা সিটির ১১ তলা আল জালা ভবন। যেখানে অবস্থিত বার্তা সংস্থা এপি, আল জাজিরা টেলিভিশনসহ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের। স্কুল থেকে মসজিদ কোন কিছুই আর নিরাপদ নেই। ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে ৩১ টি স্কুলসহ ২শরও বেশি আবাসিক ভবন।

গাজায় ক্রমেই ভারি হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল। নিহতদের মধ্যে প্রায় অর্ধশত শিশু। যারা আহত-তারাও ধুকছেন মৃত্যু যন্ত্রণায়। কামান ও ট্যাংকের গোলায় এরই মধ্যে মাটির নিচে হামাসের কয়েক কিলোমিটার সুরঙ্গ পথ ধ্বংস করা হয়েছে বলে দাবি করেছে ইসরায়েল।

ফিলিস্তিন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র নীতির কড়া সমালোচনা করেছেন কংগ্রেসওম্যান রাশিদা তালিব।

ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরে রকেট হামলা অব্যাহত রেখেছে হামাস। এর মধ্যে লেবানন ও সিরিয়া থেকেও ইসরায়েল লক্ষ্য কোরে ছোড়া হয়েছে, রকেট। লেবাননের আল হামিস সীমান্তে ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়ে চলা বিক্ষোভে গোলাবর্ষণ করে ইসরায়েলি বাহিনী।