ভারতে ঢুকবে ৬০ হাজার রোহিঙ্গা!

ভারতে ঢুকবে ৬০ হাজার রোহিঙ্গা!

ঢাকা, ২৯ মার্চ (জাস্ট নিউজ) : এবার ভারতে আশ্রয় নিতে আড়াই হাজার কিলোমিটার বাংলাদেশ সীমান্তে ৬০ হাজার রোহিঙ্গা নতুন করে জড়ো হয়েছেন। তারা পশ্চিমবঙ্গে আশ্রয় নেয়ার সুযোগের অপেক্ষায় রয়েছেন। রাজ্যটির প্রভাবশালী আনন্দবাজার পত্রিকার এক খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

পত্রিকাটি বলছে, পশ্চিমবঙ্গের সন্দেশখালী, সরবেড়িয়া, বারুইপুর ও বজবজ শহরে কয়েকশ রোহিঙ্গা পরিবার ইতিমধ্যেই বসবাস শুরু করে দিয়েছেন।

গেল আগস্টের শেষ দিকে রাখাইন রাজ্যে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর জাতিগত নির্মূল অভিযান থেকে পালিয়ে বাঁচতে প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। তাদের একটি অংশ এখন ভারতে ঢোকার অপেক্ষায় রয়েছেন।

পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশের সুযোগ করে দিতে বেশ কয়েকটি স্থানীয় বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কাজ করছে। রাজ্যটির ক্ষমতাসীন দলের নেতারাও এ ক্ষেত্রে সহায়তা করছেন বলে জানা গেছে।

গত ১২ মার্চ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা নিয়ে গঠিত স্টেট মাল্টি এজেন্সি সেন্টারের (স্ম্যাক) বৈঠকে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে।

সেই বৈঠকে রাজ্য গোয়েন্দা দফতরের প্রতিনিধিরা পশ্চিমবঙ্গে রোহিঙ্গাদের আসার কথা মেনে নিয়েছেন। রাজ্যের প্রতিনিধিই বাংলাদেশ সীমান্তে অপেক্ষারত প্রায় ৬০ হাজার রোহিঙ্গার কথা বৈঠকে জানান। যা শুনে অন্যান্য সংস্থার কর্মকর্তারা বিএসএফের গোয়েন্দা বিভাগের কাছে কৈফিয়ত চেয়েছেন।

তাদের প্রশ্ন, বিএসএফের একাংশ যুক্ত না থাকলে দলবেঁধে রোহিঙ্গাদের এ রাজ্যে ঢুকে পড়া সম্ভব নয়।

বিএসএফের প্রতিনিধি অবশ্য জানান, দুদফায় তাদের হাতে ২০ রোহিঙ্গা ধরা পড়েছে। তাদের ফেরত পাঠানো হয়েছে। তবে দীর্ঘ সীমান্তের ওপার থেকে কখন, কীভাবে রোহিঙ্গারা ঢুকে পড়ছেন, তা নিয়ে বিএসএফ ওই বৈঠকে আরো সতর্ক থাকার আশ্বাস দিয়েছে।

বারুইপুরের কাছে হাড়দহ গ্রামে ইতিমধ্যেই প্রায় আড়াইশ রোহিঙ্গা বসবাস শুরু করেছেন। চলতি মাসে আরো ৭০ জন সেখানে গেছেন।

পুলিশ জানায়, নদীপথে বাংলাদেশ সীমান্ত পেরিয়ে সন্দেশখালী-সরবেড়িয়ায় প্রথম পশ্চিমবঙ্গে যান রোহিঙ্গারা। সেখান থেকে বিভিন্ন সংগঠন তাদের জিম্মায় নিয়ে নিয়েছেন। এরপর ধীরে ধীরে বিভিন্ন অঞ্চলে তাদের ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। কক্সবাজার থেকে পশ্চিমবঙ্গ হয়ে দক্ষিণ ভারতেও রোহিঙ্গারা পৌঁছে যাচ্ছেন।

সীমান্ত পার হতে সাহায্য করতে রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে বিপুল অর্থও নেয়া হচ্ছে। এ জন্য আর্থিকভাবে সচ্ছল রোহিঙ্গা পরিবারের নারী ও শিশুদের আশ্রয় দেয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।

(জাস্ট নিউজ/এমআই/১০৫২ঘ.)