করোনা মহামারির মধ্যেই আবারো উত্তপ্ত ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীর। অঞ্চলটিতে হঠাৎ করে বেড়ে গেছে সন্ত্রাসী হামলা। শনিবার (১২ জুন) কাশ্মীরের সোপর শহরে পুলিশকে লক্ষ্য করে হামলা চালায় অস্ত্রধারীরা। পরে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে মারা যান দুই বেসামরিক নাগরিক। আহত হন আরো তিনজন। পরে পুলিশি হামলার প্রতিবাদে লাশ নিয়ে বিক্ষোভ করে কয়েকশ' মানুষ।
শনিবার কাশ্মীরের সোপর শহরে মরদেহ নিয়ে শোক মিছিল বের করে স্থানীয় নাগরিকরা। পুলিশি হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে স্লোগান দেন বিক্ষোভকারীরা। এর আগে শনিবার বিকেলে নিরাপত্তা বাহিনীর টহল গাড়ি লক্ষ্য করে অতর্কিত হামলা চালায় অস্ত্রধারীরা। পরে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান শুরু করে পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অস্ত্রধারাীরা পালিয়ে গেলও বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি চালায় পুলিশ। এতে বেশ কয়েকজন হতাহত হন। হামলাকারীদের ধরতে না পারলেও নিরীহ মানুষকে গুলিকে হত্যার সমালোচনা করেন তারা।
কয়েকজন জানান, আমরা এক সাথে রাস্তার পাশে বসে চা খাচ্ছিলাম। হঠাৎ করে পুলিশ এসে গুলি করা শুরু করে। এতে ঘটনাস্থলেই একজন মারা যান। পরে আরেকজন দৌঁড়ে প্রাণে বাচার চেষ্টা করলে তাকেও লক্ষ্য করে গুলি করা হয়।
কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেয়ার পর লকডাউনের মধ্যেই হঠাৎ করে নিরাপত্তা বাহিনী ও রাজনীতিবিদদের ওপর বেড়ে গেছে সন্ত্রাসী হামলা। এর আগে গেল সপ্তাহে কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলায় সন্ত্রাসী হামলায় এক বিজেপি নেতা নিহত হন।
কাশ্মীরের স্বাধীনতার দাবিতে ১৯৮৯ সাল থেকে সশস্ত্র বিদ্রোহী করে আসছে অঞ্চলটির বিভিন্ন বিচ্ছিন্নতাবাদী দল। এদের দমনে প্রায় অভিযান চালিয়ে থাকে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী। আন্দোলনকারীদের সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এদের মদদ দেয়ার অভিযোগ করে থাকে নয়াদিল্লি। যদিও এ অভিযোগ অস্বীকার করে থাকে ইসলামাবাদ।
এমজে/
