পরমাণু আলোচনার মধ্যেই ইরানকে ১.৮ কোটি ডলার সহায়তা ইইউর

পরমাণু আলোচনার মধ্যেই ইরানকে ১.৮ কোটি ডলার সহায়তা ইইউর

করোনা ভাইরাস (মহামারি) মহামারির মধ্যে মানবিক সহায়তা হিসেবে ইরানকে প্রায় ১ কোটি ৮০ লাখ ডলার অনুদান দিয়েছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন। দেশটিতে করোনা মহামারি, জলবায়ুঘটিত ও অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের ভুক্তভোগীদের জন্য এ সহায়তা দেওয়া হয়েছে বলে সোমবার জানিয়েছে ইউরোপিয়ান কমিশন (ইসি)। ইরানের পাশাপাশি পাকিস্তানকে ৮২ লাখ ডলারের বেশি অনুদান দিয়েছে ইউরোপীয় দেশগুলোর জোটটি।

সোমবার এক বিবৃতিতে ইসি জানায়, ইরান ও পাকিস্তানে দুঃস্থদের সহায়তায় ২ কোটি ২০ লাখ ইউরো (২ কোটি ৫৯ লাখ ২০ হাজার ডলার) অনুদান প্যাকেজ উন্মুক্ত করা হয়েছে।

ইসি’র দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক কমিশনার, ইয়ানেজ লেনারচিচ বলেন, ইরান ও পাকিস্তান উভয়ই প্রতি বছর ফিরে আসা প্রাকৃতিক দুর্যোগের উচ্চ ঝুঁকিসম্পন্ন দেশ। করোনা মহামারিতে দেশগুলোর পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়ে উঠেছে। বিশ্বজুড়ে আফগান শরণার্থীদের প্রধান দুই আশ্রয়স্থল এই দুই দেশের সংকটাপন্ন পরিস্থিতিতে মানবিক সহায়তা বৃদ্ধি করছে ইইউ।

ইরান ও পাকিস্তানে স্থানীয়দের পাশাপাশি আফগানদের সহায়তায় এবং করোনা মহামারির বিরুদ্ধে দেশগুলোর লড়াই জোরদার করতে এ সহায়তা দেয়া হচ্ছে বলে জানায় ইসি।

আটকে আছে পারমাণবিক চুক্তি
এদিকে অনুদান দিলেও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তিতে ফিরে যেতে ইরানকে উদ্ধুদ্ধ করার চেষ্টায় তেমন একটা অগ্রগতি করতে পারেনি ইইউ। এখনো ইরানের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র।

সোমবারের বিবৃতিতে ইসি জানিয়েছে, করোনা মহামারিতে পুরো বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ দেশগুলোর একটি ইরান। সেখানে এখন মহামারির চতুর্থ ঢেউ চলছে। দেশটির ফার্মাসিউটিক্যাল প্রতিষ্ঠান, পণ্য পরিবহন প্রতিষ্ঠান ব্যাংকের উপর জারি থাকা মার্কিন নিষেধাজ্ঞা দেশটির জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ ও সরঞ্জাম সংগ্রহ করার পথে বাঁধা সৃষ্টি করে রেখেছে।

প্রসঙ্গত, ইইউ’র মধ্যস্ততায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে কবে পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে আলোচনা শুরু হবে তা এখনো অনিশ্চিত।

২০১৫ সালের ওই চুক্তি অনুসারে, ইরানের উপর থেকে সকল অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা সরিয়ে নিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। বদলে ইরান তাদের পারমাণবিক কর্মসূচী সীমিত রেখেছিল। তবে ২০১৮ সালে চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে বের করে নেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প।