কোর কমান্ডার স্তরের বৈঠকে লাদাখের গোগরা থেকে সেনা পিছনোর বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে ভারত এবং চীন।
আর তার পরেই গত বছরের গালওয়ানের সংঘর্ষের ঘটনার একটি ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করল চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ)। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করে বেজিংয়ের দাবি, ওই ঘটনায় সেদিন চারজন চীনা সেনা নিহত হয়েছিল। যদিও সেই দাবির সত্যতা নিয়ে সন্দিহান ভারতীয় সেনা এবং বিদেশি সামরিক পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলি।
ফুটেজে দেখা গেছে, উঁচু এলাকা থেকে চীনারা ভারতীয় সেনাদের লক্ষ্য করে পাথর ছুড়ছে। খরস্রোতা পাহাড়ি নদীতে দু’পক্ষের সেনাদের সংঘর্ষ চলছে। এ সময় পানিতে ভেসে যেতেও দেখা গেছে কয়েকজন চীনা সেনাকে।
নয়াদিল্লির পক্ষ থেকে ঘটনার পরেই জানানো হয়েছিল, ২০২০ সালের ১৫ জুন রাতে গলওয়ান উপত্যকার পেট্রোলিং পয়েন্ট ১৪ (পিপি-১৪)-এ সংঘর্ষে বিহার রেজিমেন্টের এক কর্নেল এবং ১৯ জন জওয়ান নিহত হয়েছেন।
চীনের হতাহতের সংখ্যা আরও বেশি। আমেরিকার গোয়েন্দা রিপোর্টেও ৩০ জনের বেশি চীনা সেনার মৃত্যুর কথা জানানো হয়েছিল।
কিন্তু এতোদিন পর্যন্ত চীন তাদের নিহত সেনা সদস্যদের সংখ্যা প্রকাশ করেনি। ভারতীয় সেনার একটি সূত্র দাবি করছে, লাদাখে মোতায়েন বাহিনীর মনোবল অক্ষুন্ন রাখতেই নিহতের সংখ্যা কম করে দেখাতে চেয়েছে বেজিং।
লাদাখের চুসুলে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (এলএসি) লাগোয়া মল্ডোতে গত শনিবার কোর কমান্ডার স্তরের ১২তম বৈঠকে হট স্প্রিংস এবং গোগরা হাইটে ‘মুখোমুখি অবস্থান থেকে সেনা পিছনো’ (ডিসএনগেজমেন্ট) ও ‘সেনা সংখ্যা কমানো’ (ডিএসক্যালেশন)-এর বিষয়ে আলোচনা হয়েছিল। পূর্ব লাদাখের গোগরা হাইটে এখন দু’দেশেরই শতাধিক সেনা মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে।
পরবর্তী পর্যায়ে দেপসাং এলাকা থেকে সেনা পিছনোর বিষয়ে কোর কমান্ডার স্তরের বৈঠকে আলোচনা হতে পারে বলে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
এমজে/