তালেবানকে শত শত মিলিয়নের প্রলোভন জি-৭’র

তালেবানকে শত শত মিলিয়নের প্রলোভন জি-৭’র

তালেবানকে নগদ অর্থের প্রলোভন দেখাচ্ছে উন্নত সাত দেশের সংগঠন জি-৭। সংগঠনটির নেতারা বলছেন, তাদের হাতে আটকে থাকা শত শত মিলিয়ন ডলার ফেরত দেওয়া হবে। তবে সেই অর্থ পেতে নতুন সরকারকে অন্তত চার শর্ত মেনে চলতে হবে। এর মধ্যে প্রথম শর্ত হচ্ছে, আগামী ৩১ আগস্টে পশ্চিমা সেনা প্রত্যাহারের পরও যেসব আফগান দেশ ছাড়তে ইচ্ছুক তাদের নিরাপদে দেশ ছাড়ার সুযোগ দিতে হবে। এ ছাড়া মেয়েদের শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করতে হবে, সন্ত্রাসবাদকে প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না ও হেরোইনের মতো মাদক পাচার প্রতিরোধ করতে হবে। রয়টার্স ও আলজাজিরা।

মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) রাতে আফগানিস্তান পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি বৈঠক আহ্বান করে জি-৭। এর ভার্চুয়াল সম্মেলন থেকে এই প্রস্তাবনা পেশ করেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তিনি বলেন, বিষয়গুলো নিয়ে তালেবান শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলতেও রাজি জি-৭। এর আগে তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না বলে কঠোর অবস্থান নিয়েছিলেন তিনি। তবে দুদিন পরই সেই অবস্থান থেকে সরে এসে বরিস বলেন, প্রয়োজন হলে তালেবানদের সঙ্গেও কাজ করবে তার সরকার।

যুক্তরাষ্ট্র, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ও পশ্চিমা দেশগুলোর ব্যাংকগুলোতে আফগানিস্তানের শত শত কোটি ডলার অর্থ জমা ছিল। তবে ১৫ আগস্ট তালেবান কাবুলের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করার পরপরই মার্কিন ব্যাংকগুলোতে সব অর্থ জব্দ করে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসন। ফক্স নিউজের এক প্রতিবেদন মতে, আফগানিস্তানের সেন্ট্রাল ব্যাংকে অন্তত এক হাজার কোটি ডলারের সম্পদ রয়েছে। তবে এর প্রায় ৭০০ কোটি ডলারই নিউইয়র্কে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে গচ্ছিত। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলে জমা রয়েছে আরও অন্তত ৩৩ কোটি ডলার। কাবুল দখলের তিনদিন পর (১৮ আগস্ট) আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল ঘোষণা দিয়ে জানায়, তালেবানকে কোনো ধরনের আর্থিক সাহায্য করবে না আইএমএফ।

যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের হাতে থাকা এসব অর্থ ইতোমধ্যে ফেরত চেয়েছে তালেবান। গত সপ্তাহে কাতারের দোহায় গোষ্ঠীটির আন্তর্জাতিক মিডিয়াবিষয়ক মুখপাত্র সোহাইল শাহিন মার্কিন কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমাদের টাকা আমাদেরকে ফেরত দিন।’ তিনি আরও বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ও আইএমএফের ঘোষণা অত্যন্ত অন্যায় ও অবিচারের শামিল। কারণ এ মুহূর্তে আমাদের প্রধান লক্ষ্যই হলো আফগানিস্তানকে পুনর্গঠন করা। আমাদের বিপুল অর্থ প্রয়োজন। তারা আমাদের কাজকে বাধাগ্রস্ত করতে চাইছে।’