"পেরিল" বইয়ে বিস্ফোরক তথ্য

পরমাণু হামলার ঘটনাও ঘটাতে পারতেন নির্বাচনে পরাস্থ ট্রাম্প

পরমাণু হামলার ঘটনাও ঘটাতে পারতেন নির্বাচনে পরাস্থ ট্রাম্প

নিবার্চনে হেরে অনেকটা পাগল হবার অবস্থা দাঁড়িয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের। যেকোন দেশের সঙ্গে যুদ্ধ বাধিয়ে বসতে পারেন কিংবা পারমাণবিক হামলার ঘটনাও ঘটাতে পারতেন আলোচিত এই প্রেসিডেন্ট। বিষয়টি নিয়ে এরকম তটস্থই ছিলেন ট্রাম্প প্রশাসনের নীতিনির্ধারক কর্মকর্তারা।

কিংবদন্তি সাংবাদিক বব উডওয়ার্ড এবং প্রবীণ ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদক রবার্ট কোস্টারের য়ৌথভাবে লেখা নতুন বই "পেরিল" থেকে এমন সব বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ পেয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল হিলে ৬ জানুয়ারিতে হামলার দুই দিন পর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শীর্ষ সামরিক উপদেষ্টা, জয়েন্ট চিফস চেয়ারম্যান জেনারেল মার্ক মিলি, ট্রাম্পকে সম্ভাব্য বিপজ্জনক সামরিক হামলা বা পারমাণবিক অস্ত্র চালানো থেকে বিরত রাখার জন্য সর্বাত্মক রকমের চেষ্টা করেন। আর এ পুরোবিষয়টি তিনি অতি গোপনে এককভাবে সামাল দেন।

উডওয়ার্ড এবং কোস্টা বইটিতে লিখেছেন যে, "ক্যাপিটাল হিলের হামলায় অনেকটা হতবাক হয়ে পড়েছিলেন জেনারেল মিলি। তিনি নিশ্চিত ছিলেন যে নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি দেখার পর ট্রাম্পের মানসিক অবস্থার চরম বিপর্যয় ঘটেছিল। অবস্থাটা প্রায় পাগলের মতো। কর্মকর্তাদের দিকে চিৎকার করছেন এবং 'নির্বাচনী ষড়যন্ত্র' নিয়ে নিজের মতো করে একটা বিকল্প দাঁড় করানোর চেষ্টা চালাচ্ছিলেন।"

মিলি এই ভেবে দুশ্চিন্তা করছিলেন যে ট্রাম্প আরও খারাপ আচরণের দিকে ধাবিত হতে পারেন।

প্রেসিডেন্টের বেগতিক অবস্থা দেথে ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তাকে উদ্দেশ্য করে জেনারেল মিলি বলেন, "আপনি কখনই জানেন না যে একজন প্রেসিডেন্ট কোন মুহূর্তে ক্ষোভ উগরে দিতে পারেন?"

সার্বিক বিষয় মাথায় রেখে জানুয়ারির ৮ তারিখে পেন্টাগন কার্যালয়ের যুদ্ধ কক্ষে একটি গোপন বৈঠকে বসেন জেনারেল মিলি। এবং সেখানে সম্ভাব্য সামরিক হামলা কিংবা পরমাণু অস্ত্রের ব্যবহার নিয়ে পর্যালোচনা করেন। বৈঠকে তিনি ন্যাশনাল মিলিটারি কমান্ড সেন্টারের দায়িত্বে থাকা ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছিলেন যে, তার অনুমতি ব্যতীত কারো কোনো আদেশ বাস্তবায়ন করা যাবেনা।

২০০ টিরও বেশি সাক্ষাৎকারের উপর ভিত্তি করে লেখা হয়েছে "পেরিল" বইটি। বইটির পাতায় মেয়াদকালের শেষ দিকে ট্রাম্প অফিসের কর্মকান্ডের বর্ণনা উঠে এসেছে। এ মাসের ২১ তারিখে বাজারে আসবে বইটি।