বরিস জনসনকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর আহ্বান

বরিস জনসনকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর আহ্বান

লকডাউন চলাকালীন ড্রিঙ্কস পার্টিতে যোগ দেওয়ার ঘটনায় ‘আন্তরিকভাবে ক্ষমা’ চাওয়ার পর বরিস জনসনকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর আহ্বান জানানো হয়েছে।

করোনাভাইরাস মহামারির মাঝেই ডাউনিং স্ট্রিটের বাগানের পার্টির জেরে তার দল কনজারভেটিভ পার্টির সিনিয়র সদস্যরাই তাকে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়তে বলছেন।

এই বিষয়ে ক্ষমা চাওয়ার পর স্কটল্যান্ডের সিনিয়র কনজারভেটিভ ডগলাস রস ও এমপি উইলিয়াম র্যা গ, ক্যারোলাইন নকস ও রজার গালে তাকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাড়াতে বলেছেন।খবর বিবিসির।

২০২০ সালের মে মাসে ডাউনিং স্ট্রিটের কর্মীদের নিয়ে ওই পার্টি দিয়েছিলেন বরিস জনসন। লকডাউনের মধ্যেই ডাউনিং স্ট্রিটের বাগানে মদের পার্টি করে সমালোচনার মুখে পড়েন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।

বরিস জনসন বলেন, হাজার হাজার ব্রিটিশ নাগরিক যখন করোনা বিধির প্রতি সম্মান জানিয়ে প্রিয়জনদের শেষকৃত্যে পর্যন্ত নেওয়া থেকে বিরত থেকেছে, সেখানে তার এহেন আচরণ মোটেও প্রশংসাযোগ্য নয়।

এদিকে প্রধান বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা কেইর স্টার্মার বরিসের এই ক্ষমা প্রার্থনাকে ‘অর্থহীন’ বলে উড়িয়ে দিয়ে এতো দেরি করে এ ব্যাপারে মুখ খোলার জন্য বরিসকে উপহাস করেছেন।

এ ব্যাপারে স্টার্মার প্রশ্ন তোলেন, তিনি (বরিস) কি ভদ্রোচিতভাবে পদত্যাগ করবেন? এর আগে অবশ্য এই ঘটনার জন্য স্টার্মার বরিসকে ‘নির্লজ্জ’ বলেছিলেন।

২০২০ সালের ওই পার্টির ভিডিও সামনে আসার পর থেকেই অবশ্য ব্রিটেন জুড়ে সমালোচনা শুরু হয়। এই ঘটনা জনগণের মনে ক্ষোভের জন্ম দেয়। এমনকি জনমত জরিপেও বরিসের জনপ্রিয়তা হ্রাস পায়।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ২০ মে ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের বাগানে সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে মদের আসর বসে। এই আসরে বরিস জনসন ও তার স্ত্রী ক্যারি সিমন্ডস ছাড়াও শতাধিক অতিথি ছিলেন। ওই সময় যুক্তরাজ্যে স্কুল, রেস্টুরেন্ট, মদের দোকান বন্ধ থাকাসহ সমাজিক মেলামেশায় কঠোর নিষেধ ছিল।

স্থানীয় সময় সোমবার আয়োজন-সংক্রান্ত একটি ই-মেইল ফাঁস হলে এ তথ্য প্রকাশ্যে আসে। জানা যায়, ই-মেইলের মাধ্যমে সরকারের জ্যেষ্ঠ আমলা মার্টিন রেনল্ডস অতিথিদের দাওয়াত করেছিলেন।

এমজে/