ইরানের কর্নেল খোদায়িকে হত্যায় জড়িত ইসরাইল!

ইরানের কর্নেল খোদায়িকে হত্যায় জড়িত ইসরাইল!

ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি’র কুদস ফোর্সের কমান্ডার কর্নেল হাসান সাইয়্যাদ খোদায়িকে হত্যার কথা আমেরিকাকে জানিয়েছে ইসরাইল।

মার্কিন সংবাদ মাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস এ খবর দিয়েছে।খবর আল-আরাবিয়ার।

নিউইয়র্ক টাইমস একটি সূত্রের বরাত দিয়ে বলেছে, ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রীর এক মুখপাত্র কর্নেল খোদায়িকে হত্যায় নিজেদের জড়িত থাকার বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।

তবে এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা পত্রিকাটিকে বলেছেন, ইসরাইলের শাসক গোষ্ঠী মার্কিন কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন যে তাদেরই ভাড়া করা গুপ্তচররা কর্নেল খোদায়িকে হত্যা করেছে।

এ পর্যন্ত বহু স্বাধীনতাকামী ফিলিস্তিনি এবং লেবাননের নেতা ইসরাইলের গুপ্তহত্যার শিকার হয়েছেন। এমনকি সম্প্রতি তেলআবিবের শাসক গোষ্ঠী ফিলিস্তিনি প্রতিরোধকামী সংগঠন হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়াত্রাকে গাজায় হত্যার হুমকি দিয়েছে।

ফিলিস্তিনি ও লেবাননের নেতৃবৃন্দ ছাড়াও, বিপুল সংখ্যক বিজ্ঞানী বিশেষ করে ইরানের বহু বিজ্ঞানীর পাশাপাশি বিপুল সংখ্যক সাংবাদিক ইসরাইলের গুপ্তহত্যার শিকার হয়েছেন।

সম্প্রতি ইসরাইলি কর্মকর্তারা কাতার ভিত্তিক আলজাজিরার সাংবাদিক ৫১ বছর বয়স্ক শিরিন আবু আক্বলেহকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে যাতে দেশপ্রেমিক ও স্বাধীনতাকামী ফিলিস্তিনি সাংবাদিকরা ইসরাইলি অপরাধযজ্ঞ তুলে ধরার সৎ সাহস দেখাতে না পারেন এবং বিশ্ববাসীও যেন ইসরাইলি অপরধযজ্ঞের খবরগুলো জানতে না পারে।

ফিলিস্তিনি সাংবাদিক সমিতিগুলো জানিয়েছে, ২০০০ সাল থেকে এ পর্যন্ত ইসরাইলি সেনারা অন্তত ৪৫ জন ফিলিস্তিনি সাংবাদিককে হত্যা করেছে এবং প্রতি বছর ফিলিস্তিনি সাংবাদিকদের ওপর ৫০০ থেকে ৭০০টি হামলা ও নির্যাতনের ঘটনা ঘটিয়েছে দখলদার সেনারা।

সাইয়্যাদ খোদায়িকে হত্যা নেপথ্য কারণ হিজবুল্লাহকে উন্নত এবং নিখুঁত ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি হস্তান্তর করা।